ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

১১৭৫ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ প্রদান,প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ কর্মশক্তি তৈরিতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

পোশাকশিল্পে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ কর্মশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এবং সরকারের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) যৌথ উদ্যোগ।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ১১৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

বিজিএমইএ ও এসআইসিআইপিয়ের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্ন এসব প্রশিক্ষণার্থী পোশাক শিল্পের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষায়িত দক্ষতা অর্জন করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি এবং এসআইসিআইপি–বিজিএমইএ প্রকল্পের চেয়ারপারসন মাহমুদ হাসান খান প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।

দ্বিতীয় সেশনে সার্টিফিকেট প্রদান করেন বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সহ সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রুমানা রশীদ। কি-নোট উপস্থাপন করেন পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান এবং বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসআইসি আইপি বিজিএমইএ প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর মুনীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের সফল নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানকে সম্মাননা দিয়েছেন প্রকল্প কমিটির তিন সদস্য- সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক রুমানা রশীদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নানা কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষতা উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, পোশাকশিল্প এখন মৌলিক উৎপাদন থেকে সরে এসে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পোশাক ডিজাইন সফটওয়্যার, থ্রিডি ডিজাইন, কম্পিউটার এডেড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ডিজিটাল প্রিন্টিংসহ উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর টুল ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে শিল্পের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীরা শিল্পের ভবিষ্যৎ কারিগর; তারা স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ নির্মাণে ডিজিটাল রূপান্তরের চেঞ্জমেকার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান জানান, এসআইসিআইপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও বিজিএমইএ মিলে ২০২৪ সাল থেকে ১০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে ২০টি ট্রেনিং সেন্টারে ১২টি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এসআইসিআইপি হলো সরকারের একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি, যা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় শিল্পখাতের দক্ষতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। তৈরি পোশাক খাতের ক্ষেত্রে প্রকল্পটির মূল বাস্তবায়ন অংশীদার হচ্ছে বিজিএমইএ।

১১৭৫ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ প্রদান,প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ কর্মশক্তি তৈরিতে

প্রকাশিত : ০৮:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

পোশাকশিল্পে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ কর্মশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এবং সরকারের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) যৌথ উদ্যোগ।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ১১৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

বিজিএমইএ ও এসআইসিআইপিয়ের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্ন এসব প্রশিক্ষণার্থী পোশাক শিল্পের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষায়িত দক্ষতা অর্জন করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি এবং এসআইসিআইপি–বিজিএমইএ প্রকল্পের চেয়ারপারসন মাহমুদ হাসান খান প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।

দ্বিতীয় সেশনে সার্টিফিকেট প্রদান করেন বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সহ সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রুমানা রশীদ। কি-নোট উপস্থাপন করেন পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান এবং বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসআইসি আইপি বিজিএমইএ প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর মুনীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের সফল নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানকে সম্মাননা দিয়েছেন প্রকল্প কমিটির তিন সদস্য- সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক রুমানা রশীদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নানা কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষতা উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, পোশাকশিল্প এখন মৌলিক উৎপাদন থেকে সরে এসে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পোশাক ডিজাইন সফটওয়্যার, থ্রিডি ডিজাইন, কম্পিউটার এডেড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ডিজিটাল প্রিন্টিংসহ উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর টুল ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে শিল্পের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীরা শিল্পের ভবিষ্যৎ কারিগর; তারা স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ নির্মাণে ডিজিটাল রূপান্তরের চেঞ্জমেকার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান জানান, এসআইসিআইপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও বিজিএমইএ মিলে ২০২৪ সাল থেকে ১০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে ২০টি ট্রেনিং সেন্টারে ১২টি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এসআইসিআইপি হলো সরকারের একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি, যা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় শিল্পখাতের দক্ষতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। তৈরি পোশাক খাতের ক্ষেত্রে প্রকল্পটির মূল বাস্তবায়ন অংশীদার হচ্ছে বিজিএমইএ।