জুবাইয়া বিন্তে কবির : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সবুজ প্রান্তরজুড়ে বইছে ক্রীড়ার উচ্ছ্বাস, প্রতিযোগিতা আর আনন্দঘন উৎসবের আমেজ। দুই সপ্তাহব্যাপী আন্তঃঅনুষদীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফার্স্ট রাউন্ড ও সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষে আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
টুর্নামেন্ট ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিদিনের ম্যাচে বিভিন্ন অনুষদের খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, শিক্ষার্থীদের ঢেউ তুলতে থাকা উৎসাহ এবং মাঠজুড়ে তুমুল করতালিতে পবিপ্রবি পরিণত হয়েছে এক প্রাণবন্ত মিলনকেন্দ্রে।

টুর্নামেন্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন এবং টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ডিন কাউন্সিলের কনভেনর প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার।
ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন মাননীয় প্রো–ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুল লতিফ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ততার গুরুত্ব তুলে ধরে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পবিপ্রবির ফুটবল টুর্নামেন্টে ফিশারিজ অনুষদের শিরোপা জয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সবুজ মাঠে রোববার বিকেল যেন উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল। আন্তঃঅনুষদীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর রোমাঞ্চকর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস। খেলাপ্রেমী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ তখন যেন এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায় রূপ নেয়।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া ফাইনাল ম্যাচে শক্তিশালী এএনএসভিএম অনুষদকে ১–০ গোলে পরাজিত করে ফিশারিজ অনুষদ কাষ্ঠস্পর্শী লড়াইয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করে। খেলার শেষ মুহূর্তের দারুণ এক গোল পুরো মাঠে এনে দেয় উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (অ.দা.) ড. আমিনুল ইসলাম টিটো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন,“সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শৃঙ্খলাবোধ, নেতৃত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা—এসব গুণ অর্জনের অন্যতম মাধ্যম খেলাধুলা। আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক উৎকর্ষের পাশাপাশি ক্রীড়াাঙ্গনেও সুনাম কুড়াক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”তিনি আরও যোগ করেন, পবিপ্রবির খেলাধুলার পরিবেশ দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত করছে।
পরে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন ফিশারিজ অনুষদ ও রানারআপ এএনএসভিএম অনুষদের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন। মাঠজুড়ে তখন উল্লাস, করতালি আর বিজয়ের গর্বে উচ্ছ্বসিত তরুণ মুখগুলোর হাসি।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহব্যাপী এই টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদ অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক, উৎসাহব্যঞ্জক ও দর্শকপূর্ণ ম্যাচ। খেলোয়াড়দের নিষ্ঠা, প্রতিযোগিতা, মনোবল এবং আনন্দঘন পরিবেশ দর্শকদের প্রতিদিনই টেনে এনেছে মাঠে।
অবশেষে ফাইনাল দিনের উত্তাপ, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সুশৃঙ্খল আয়োজন মিলে পবিপ্রবির খেলার মাঠ পরিণত হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর উৎসবমুখর আয়োজনে—যেখানে খেলাধুলা, ঐক্য ও আনন্দের স্রোতে ভেসে যায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা দলগত চেতনা, নেতৃত্বগুণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করে—যা একজন শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ নিশ্চিত করে। তিনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন এবং প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও সুস্থ প্রতিযোগিতার চর্চা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
এবারের টুর্নামেন্টে পবিপ্রবির ৮টি অনুষদ অংশগ্রহণ করে। দুই সপ্তাহের এ আয়োজনে প্রতিটি ম্যাচেই ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মাঠ কাঁপানো উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। খেলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রান্তে তৈরি হয় আনন্দঘন পরিবেশ, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ক্যাম্পাস।

ফুটবলপ্রেমী শিক্ষার্থীদের আশা—এই আয়োজন পবিপ্রবিতে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের চর্চাকে আরও বেগবান করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা, ঐক্য ও নেতৃত্বের বার্তা বয়ে আনবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 























