শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এ সময়ে রাষ্ট্রের কিছু সংস্কার করতে না পারলে আর কখনোই করা যাবে না। তিনি বলেন, আমরা ২০০৭ সালে একবার চেষ্টা করেছিলাম, কিছু কিছু করেছিলাম সেগুলো থাকেনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে। এখন যদি না করতে পারি, সংবিধানের দোহাই দিই, অন্যান্য আইনের দোহাই দিই, তাহলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা রক্ত দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অন্যায় হবে। বলছি না যে আমরা চার-পাঁচ বছর থাকব। এক বছরের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব।
শনিবার ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারে জোর দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অনেকরকম কথা আছে। আমরাও এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। আমার মত ছিল এটা হবে আংশিক সংখ্যানুপাতিক, আংশিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। দুটোই যৌক্তিক মনে হয় হয়েছে আমার কাছে।
‘দ্বি-কক্ষ অবশ্যই হতেই হবে বাংলাদেশে। দ্বি-কক্ষ যদি হয়, তাহলে আমি মনে করি সে জায়গাতে বিভিন্ন রকমের মানুষ আসবে এবং তারা একটা গাইডলাইন তৈরি করতে পারে; তাতে নির্বাচনের আগে হয়ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আলাদা করে প্রয়োজন হবে না।’
দলের ‘খরচ যোগাতে চাঁদাবাজি’ বন্ধের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট’ না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর যে দায়দায়িত্ব কতগুলো, সেগুলো কিন্তু আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়, তারপর কোন্দল শুরু হয়। এক দল আরেকদলকে খেয়ে ফেলে। তাই এই আইন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আপনি আজকে সেনাবাহিনী বা সিভিল সার্ভিসে আছেন, রিটায়ার করার পরে আপনি এমপি হতে চান। আর যারা বিজনেস করছেন, তার সঙ্গে রাজনীতির কোনো বিষয় নেই, তিনি চট করে এসে রাজনীতিবিদ হয়ে গেলেন। কারণ তিনি ৬ থেকে ৮ কোটি টাকা খরচ করলেন নমিনেশনের জন্য। যেটাকে আমরা বলছি, নমিনেশন বাণিজ্য, এটা বন্ধ করতে হবে।’