ইরানের সমৃদ্ধ ৪০০ কেজিরও বেশি ইউরেনিয়াম কোথায় আছে, এবং আদৌ তা আছে, না কি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে— এসব জানেন না বলে স্বীকার করেছেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।
রোববার কানাডিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রসি বলেন, “ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায় আছে, কিংবা ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের ১২ দিনে তা ধ্বংস হয়েছে কি না— তা আমরা জানি না।”
সাক্ষাৎকারে গ্রসি জানান, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে বিমান হামলা শুরুর সময় অন্তত ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম ছিল ইরানের এবং এ ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতার মাত্রা ছিল ৬০ শতাংশ। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য কমপক্ষে ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয় এবং ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতাতে ৯০ শতাংশ উন্নীত করা কঠিন কোনো ব্যাপার নয়।
গ্রসি আরও বলেন, সদ্য শেষ হওয়া ১২ দিনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের পরমাণু প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি করলেও ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে ধ্বংস করতে পেরেছে বলে তিনি মনে করেন না।
“১৩ জুন সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলের এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তারা তাদের পরমাণু প্রকল্পকে রক্ষার জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ইরানের মোট মজুতকৃত ইউরেনিয়ামের একটি বড় অংশ ছিল ফার্দোতে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে সংঘাতের প্রাথমিক সময়েই ফার্দো থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
“যদি ইরানের কাছে ইউরেনিয়ামের মজুত থেকে থাকে, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে দেশটি আবার পরমাণু প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। যদি তা ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও তারা প্রকল্প শুরু করবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ তারা জানে যে পরমাণু বোমা কীভাবে তৈরি করতে হয়”, সিবিএসকে বলেন গ্রসি।