ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। এখন তারা প্রতিটি স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। এর আগে এমআরটি পুলিশ সদস্যদের মারধরের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা।

আজ সকাল ৭টায় মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোরেল স্টেশনে ওঠার সিঁড়ি এবং চলন্ত সিঁড়ির কলাপসিবল গেইট বন্ধ। এতে একটি বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত।
মেট্রোরেলের কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চারজন কর্মীকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এমআরটি পুলিশ সদস্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মেট্রো কর্মী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের রাখা হয়েছে। কিন্তু তারাই আমাদের কর্মীর গায়ে তুলেছে। তাই আমরা কর্মবিরতিতে আছি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে তারা।

এরআগে, রোববার দিবাগত রাতে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আজ সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারীদের ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা তথ্য তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে চারজন কর্মী লাঞ্ছিত হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ডিএমটিসিএল কর্মীরা ৬টি দাবি তুলে ধরেছেন—

১) ঘটনার মূল হোতা পুলিশ সদস্য এস আই মাসুদসহ সকল পুলিশ সদস্যকে শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২) মেট্রোরেল ও এর কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে হবে।

৩) এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৪) স্টেশন কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫) স্টেশনে অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো ব্যক্তি যাতে পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) আহত কর্মীদের চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু

প্রকাশিত : ১২:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। এখন তারা প্রতিটি স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। এর আগে এমআরটি পুলিশ সদস্যদের মারধরের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা।

আজ সকাল ৭টায় মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোরেল স্টেশনে ওঠার সিঁড়ি এবং চলন্ত সিঁড়ির কলাপসিবল গেইট বন্ধ। এতে একটি বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত।
মেট্রোরেলের কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চারজন কর্মীকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এমআরটি পুলিশ সদস্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মেট্রো কর্মী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের রাখা হয়েছে। কিন্তু তারাই আমাদের কর্মীর গায়ে তুলেছে। তাই আমরা কর্মবিরতিতে আছি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে তারা।

এরআগে, রোববার দিবাগত রাতে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আজ সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারীদের ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা তথ্য তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে চারজন কর্মী লাঞ্ছিত হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ডিএমটিসিএল কর্মীরা ৬টি দাবি তুলে ধরেছেন—

১) ঘটনার মূল হোতা পুলিশ সদস্য এস আই মাসুদসহ সকল পুলিশ সদস্যকে শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২) মেট্রোরেল ও এর কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে হবে।

৩) এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৪) স্টেশন কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫) স্টেশনে অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো ব্যক্তি যাতে পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) আহত কর্মীদের চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।