ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

রপ্তানি আদেশ বন্ধ করছে মার্কিন ক্রেতারা, বিপাকে পোশাকশিল্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৭১ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আদেশ বন্ধ করতে শুরু করেছে মার্কিন ক্রেতারা। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্টানগুলো।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ফ্রান্স ২৪ ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাত থেকে। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর খাতটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

২০০৮ সাল থেকে পোশাক রপ্তানির ব্যবসা করছেন এসেন্সর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। তিনি প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান।

তিনি ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানান, ‘আমার ক্রেতা গত রোববার ৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের চামড়ার পণ্য- যেমন ব্যাগ, বেল্ট এবং ওয়ালেটের শিপমেন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন। ওই ক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে পণ্য নিতো। কিন্তু এখন দুজনই এই বিষয়ে অনিশ্চিত।

উইকিটেক্স-বিডির পোশাক প্রস্তুতকারক এ কে এম সাইফুর রহমানকে জানান, আমার মার্কিন ক্রেতা দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের শিপমেন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন। ওই মার্কিন ক্রেতা বলেছেন, অতিরিক্ত খরচ তাদের গ্রাহকদের উপর চাপানো সম্ভব নয়, সুতরাং আমাদের মূল্য কমাতে হবে।

এরইমধ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সরকার মনোনীত প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন মার্কিন ক্রেতাদের কাছে সমঝোতার জন্য এক চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা জানি- বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতা ইতিমধ্যে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রভাব কমাতে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছেন। আমরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝি, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সরবরাহকারীদের ওপর বোঝা চাপানো কেবলই চাপ বাড়াবে। আমরা এই সময়ে বিনীতভাবে আপনাদের ধৈর্য এবং সমর্থন প্রার্থনা করছি।

সাবেক বিজিএমইএ পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল জানান, কিছু ক্রেতা ইতিমধ্যেই শিপমেন্ট স্থগিত করার অনুরোধ করেছেন; যতক্ষণ না আরও কোনো ঘোষণা আসে। বিশেষত, ছোট ক্রেতারা সরবরাহকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পুরো শুল্কের দায়ভার নেয় অথবা খরচ ভাগাভাগি করে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শাফিকুল আলম গত রোববার জানান, গত শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে জরুরি সভা করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি শুল্কের প্রভাব নিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। এরমধ্যে পোশাক শিল্প থেকে আসে ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অ্যাওয়ার্ড নাইট’ চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি ১৯ বছর পর

রপ্তানি আদেশ বন্ধ করছে মার্কিন ক্রেতারা, বিপাকে পোশাকশিল্প

প্রকাশিত : ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আদেশ বন্ধ করতে শুরু করেছে মার্কিন ক্রেতারা। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্টানগুলো।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ফ্রান্স ২৪ ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাত থেকে। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর খাতটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

২০০৮ সাল থেকে পোশাক রপ্তানির ব্যবসা করছেন এসেন্সর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। তিনি প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান।

তিনি ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানান, ‘আমার ক্রেতা গত রোববার ৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের চামড়ার পণ্য- যেমন ব্যাগ, বেল্ট এবং ওয়ালেটের শিপমেন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন। ওই ক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে পণ্য নিতো। কিন্তু এখন দুজনই এই বিষয়ে অনিশ্চিত।

উইকিটেক্স-বিডির পোশাক প্রস্তুতকারক এ কে এম সাইফুর রহমানকে জানান, আমার মার্কিন ক্রেতা দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের শিপমেন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন। ওই মার্কিন ক্রেতা বলেছেন, অতিরিক্ত খরচ তাদের গ্রাহকদের উপর চাপানো সম্ভব নয়, সুতরাং আমাদের মূল্য কমাতে হবে।

এরইমধ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সরকার মনোনীত প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন মার্কিন ক্রেতাদের কাছে সমঝোতার জন্য এক চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা জানি- বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতা ইতিমধ্যে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রভাব কমাতে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছেন। আমরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝি, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সরবরাহকারীদের ওপর বোঝা চাপানো কেবলই চাপ বাড়াবে। আমরা এই সময়ে বিনীতভাবে আপনাদের ধৈর্য এবং সমর্থন প্রার্থনা করছি।

সাবেক বিজিএমইএ পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল জানান, কিছু ক্রেতা ইতিমধ্যেই শিপমেন্ট স্থগিত করার অনুরোধ করেছেন; যতক্ষণ না আরও কোনো ঘোষণা আসে। বিশেষত, ছোট ক্রেতারা সরবরাহকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পুরো শুল্কের দায়ভার নেয় অথবা খরচ ভাগাভাগি করে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শাফিকুল আলম গত রোববার জানান, গত শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে জরুরি সভা করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি শুল্কের প্রভাব নিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। এরমধ্যে পোশাক শিল্প থেকে আসে ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।