ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আরও একজনের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম তাসলিমা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ২ জন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার ওই রাতেই তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

বর্তমানে পারভিন ৩২ শতাংশ, আইয়ান ২৮ শতাংস, তানজিলা ৯০ শতাংস দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় তাসলিমা আক্তার (৩০) তাসলিমার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভিন (৩৫) ও পারভিনের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান।

মৃত তাসলিমার স্বামী হোসেন আলী জানান, স্বামী স্ত্রী দুজনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্তমানে চাকরি ছেড়ে বাসায়ই থাকতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধারাপানি গ্রামে। ঘটনার দিন তাসলিমা ও তার মেয়ে তানজিলা বাসায় ছিলেন। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে তারা দুজনই পুড়ে যান।

তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রোমান জানান, রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসাটিতে রান্না করছিলেন পারভিন। তখন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশুসহ তারা পাঁচজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল!

গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম তাসলিমা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ২ জন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার ওই রাতেই তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

বর্তমানে পারভিন ৩২ শতাংশ, আইয়ান ২৮ শতাংস, তানজিলা ৯০ শতাংস দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় তাসলিমা আক্তার (৩০) তাসলিমার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভিন (৩৫) ও পারভিনের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান।

মৃত তাসলিমার স্বামী হোসেন আলী জানান, স্বামী স্ত্রী দুজনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্তমানে চাকরি ছেড়ে বাসায়ই থাকতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধারাপানি গ্রামে। ঘটনার দিন তাসলিমা ও তার মেয়ে তানজিলা বাসায় ছিলেন। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে তারা দুজনই পুড়ে যান।

তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রোমান জানান, রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসাটিতে রান্না করছিলেন পারভিন। তখন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশুসহ তারা পাঁচজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।