ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বগুড়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • ৩১ বার দেখা হয়েছে

বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় মামলা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি করেন সাদিয়া রহমান মিথিলা নামের এক নারী।

মামলায় হিরো আলম ছাড়াও তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিমকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পিবিআই, বগুড়া কার্যালয়ের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হিরো আলম অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাসে বাদীকে আকৃষ্ট করেন। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে এক মৌলভী ডেকে এনে বিয়ের রীতিতে ‘কবুল’ পড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। এ সময় বাদীর কাছ থেকে শর্ট ফিল্ম তৈরির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেন তিনি।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের কাবিন করার জন্য চাপ দিলে ১৮ এপ্রিল হিরো আলম তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে যান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে সেদিনই তাকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে। পরে ২৪ এপ্রিল তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।ন।

বগুড়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশিত : ১০:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় মামলা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি করেন সাদিয়া রহমান মিথিলা নামের এক নারী।

মামলায় হিরো আলম ছাড়াও তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিমকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পিবিআই, বগুড়া কার্যালয়ের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হিরো আলম অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাসে বাদীকে আকৃষ্ট করেন। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে এক মৌলভী ডেকে এনে বিয়ের রীতিতে ‘কবুল’ পড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। এ সময় বাদীর কাছ থেকে শর্ট ফিল্ম তৈরির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেন তিনি।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের কাবিন করার জন্য চাপ দিলে ১৮ এপ্রিল হিরো আলম তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে যান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে সেদিনই তাকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে। পরে ২৪ এপ্রিল তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।ন।