বাংলাদেশের ফুটবলের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। এই আলোচনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি এবং কানাডা জাতীয় ফুটবল দলে খেলা সামিত সোম। এই দুই জনের বাংলাদেশ দলের অর্ন্তভুক্তি পুরো ফুটবল আবহ বদলে দিয়েছে।
২৮-৩০ জুন ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪০ জনের বেশি প্রবাসী ফুটবলার ট্রায়ালে আসার কথা। বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বিষয়টি দেখভাল করছেন। পুরুষ ফুটবলারদের পাশাপাশি ২-১ জন নারী প্রবাসী ফুটবলারের আশার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে কিরণের মন্তব্য, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ফাহাদ ভাই মূলত বিষয়টি দেখছেন। একজন নারী ফুটবলার (আনিকা) নিয়ে একবার আলোচনা হয়েছিল। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এখনো এগোয়নি। জামাল ভূঁইয়া সেই ফুটবলারের ব্যাপারে বলেছিল।’
গত এক দশকে বাংলাদেশের ফুটবলের আলোকবর্তিকা ছিল নারী ফুটবলারদের হাতে। বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে সাফে শিরোপা, টানা দুই বার অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে এশিয়ার সেরা আটে খেলা, ২০২২ ও ‘২৪ সালে টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়নের কৃত্তিত্ব নারী ফুটবল দলের। সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে জাপানি বংশোদ্ভুত সুমাইয়া মাতসুসিমা বাংলাদেশ দলে ছিলেন।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন। এখন দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে এশিয়ার বড় মঞ্চে চোখ বাংলাদেশের। সম্প্রতি শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ড্র করেছে। এতে বাংলাদেশের র্যাংকিং ১৩৩ থেকে ৫ ধাপ কমে ১২৮ হয়েছে। বাফুফে নারী দলকে সামনে আরো বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলানোর আয়োজন করতে চায়।