ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

কৃষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি বাজেটে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ৩৯ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় বাজেটে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি।

রোববার (২২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কৃষিখাতে সরকারি বাজেট বরাদ্দ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান আব্দুর রশীদ নীলু। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, কৃষক নেতা সাইফুল হাসান এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।

বক্তারা বলেন, অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতায় খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবায়নে কৃষি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। তারা জানান, চলতি অর্থবছরে আউশ ও আমনের উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেওয়ায় সরকার ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছে।

কিন্তু গত ১৫ বছরের বাজেট ও সরকারি নীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, বহুল প্রচারিত ‘অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত’ কৃষিখাতের শরিকানা জাতীয় বাজেটে ক্রমাগত কমছে,যা দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী। ২০১১-১২ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় কৃষি বাজেট বাড়েনি। বরং এ সময়কালে কৃষি বাজেট বেড়েছে ৩.৭৮ গুণ। ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বাজেটে কৃষি বাজেটের হিস্যা ছিল ১০.৬৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তা নেমে আসে ৫.৯৪ শতাংশে। একইভাবে কৃষি ভর্তুকির হার নেমে আসে ৬.৪ শতাংশ থেকে ২.১৬ শতাংশে। অথচ এসময়ে বিদ্যুৎ খাতের লুটেরা ও কুইক রেন্টাল মালিকদের জন্য অবাধে ভর্তুকির টাকা পরিশোধ কয়া হয়েছে। গত এক দশক ধরে যে হারে জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে, সে হারে কৃষি বাজেট ও ভর্তুকি বাড়েনি বরং কমে গেছে।

এ সময় সংগঠনে পক্ষ থেকে কৃষিখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।তাতে রয়েছে-বিনিয়োগ বৃদ্ধি,ভর্তুকি বৃদ্ধি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা,কৃষিপণ্যে মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা,কৃষিঋণ চালু করা,কৃষি তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা,কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন,ফসল সংরক্ষণের সরকারি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিলে কর কমানো হয়েছে

কৃষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি বাজেটে

প্রকাশিত : ০৮:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

জাতীয় বাজেটে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি।

রোববার (২২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কৃষিখাতে সরকারি বাজেট বরাদ্দ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান আব্দুর রশীদ নীলু। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, কৃষক নেতা সাইফুল হাসান এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।

বক্তারা বলেন, অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতায় খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবায়নে কৃষি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। তারা জানান, চলতি অর্থবছরে আউশ ও আমনের উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেওয়ায় সরকার ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছে।

কিন্তু গত ১৫ বছরের বাজেট ও সরকারি নীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, বহুল প্রচারিত ‘অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত’ কৃষিখাতের শরিকানা জাতীয় বাজেটে ক্রমাগত কমছে,যা দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী। ২০১১-১২ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় কৃষি বাজেট বাড়েনি। বরং এ সময়কালে কৃষি বাজেট বেড়েছে ৩.৭৮ গুণ। ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বাজেটে কৃষি বাজেটের হিস্যা ছিল ১০.৬৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তা নেমে আসে ৫.৯৪ শতাংশে। একইভাবে কৃষি ভর্তুকির হার নেমে আসে ৬.৪ শতাংশ থেকে ২.১৬ শতাংশে। অথচ এসময়ে বিদ্যুৎ খাতের লুটেরা ও কুইক রেন্টাল মালিকদের জন্য অবাধে ভর্তুকির টাকা পরিশোধ কয়া হয়েছে। গত এক দশক ধরে যে হারে জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে, সে হারে কৃষি বাজেট ও ভর্তুকি বাড়েনি বরং কমে গেছে।

এ সময় সংগঠনে পক্ষ থেকে কৃষিখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।তাতে রয়েছে-বিনিয়োগ বৃদ্ধি,ভর্তুকি বৃদ্ধি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা,কৃষিপণ্যে মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা,কৃষিঋণ চালু করা,কৃষি তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা,কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন,ফসল সংরক্ষণের সরকারি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।