ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ১৩৭ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ।

তিনি বলেছেন, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তেহরানের কয়েক বছর সময় লাগবে। তবে মার্কিন হামলায় ইরানের সম্পূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়েছে বলে কোনও দাবি তিনি করেননি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সিআইএ পরিচালকের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন পেন্টাগনের একটি গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁস হওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পরও ইরানের মূল পরমাণু সক্ষমতা বহাল আছে।

এই মূল্যায়নে ক্ষুব্ধ হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বারবার দাবি করে আসছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে। বুধবার ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “ভুয়া সংবাদমাধ্যম মিথ্যা বলছে এবং এমন তথ্য উপস্থাপন করছে যার কোনও ভিত্তি নেই।”

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা “আমাদের বীর মার্কিন পাইলটদের সম্মান রক্ষায়” একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন।

তবে সিআইএর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী মার্কিন হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইরানের পারমাণকিব কর্মসূচির মূল তিন কেন্দ্র। সিআইএ পরিচালক জানান, তাদের কাছে “বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে নতুন গোয়েন্দা তথ্য এসেছে” যা নিশ্চিত করে যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর মধ্যে নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহানে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং সেগুলো পুনর্গঠন করতে বহু বছর সময় লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও সিআইএর এই মূল্যায়নের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, “ইরান যদি পুনর্গঠন করতে চায়, তবে তিনটি স্থাপনাই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।”

স্যাটেলাইট থেকে তোলা নতুন ছবি অনুযায়ী, ফোর্দো ও ইসফাহানে প্রবেশপথের আশপাশে একাধিক বড় গর্ত দেখা গেছে। তবে স্থাপনাগুলো যেহেতু মাটির অনেক নিচে, তাই সেগুলোর আসল ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

পেন্টাগনের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) ফাঁস হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এই হামলায় মাত্র “কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে।” তবে এই মূল্যায়ন “কম আত্মবিশ্বাসে” করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। অন্যান্য তথ্য এলে এই মূল্যায়ন বদলে যেতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরান হয়তো আগেই তাদের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বড় অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল।

তবে বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই বলেন, “আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা নিশ্চিত”। তবে এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’

প্রকাশিত : ০৮:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ।

তিনি বলেছেন, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তেহরানের কয়েক বছর সময় লাগবে। তবে মার্কিন হামলায় ইরানের সম্পূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়েছে বলে কোনও দাবি তিনি করেননি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সিআইএ পরিচালকের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন পেন্টাগনের একটি গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁস হওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পরও ইরানের মূল পরমাণু সক্ষমতা বহাল আছে।

এই মূল্যায়নে ক্ষুব্ধ হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বারবার দাবি করে আসছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে। বুধবার ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “ভুয়া সংবাদমাধ্যম মিথ্যা বলছে এবং এমন তথ্য উপস্থাপন করছে যার কোনও ভিত্তি নেই।”

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা “আমাদের বীর মার্কিন পাইলটদের সম্মান রক্ষায়” একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন।

তবে সিআইএর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী মার্কিন হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইরানের পারমাণকিব কর্মসূচির মূল তিন কেন্দ্র। সিআইএ পরিচালক জানান, তাদের কাছে “বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে নতুন গোয়েন্দা তথ্য এসেছে” যা নিশ্চিত করে যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর মধ্যে নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহানে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং সেগুলো পুনর্গঠন করতে বহু বছর সময় লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও সিআইএর এই মূল্যায়নের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, “ইরান যদি পুনর্গঠন করতে চায়, তবে তিনটি স্থাপনাই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।”

স্যাটেলাইট থেকে তোলা নতুন ছবি অনুযায়ী, ফোর্দো ও ইসফাহানে প্রবেশপথের আশপাশে একাধিক বড় গর্ত দেখা গেছে। তবে স্থাপনাগুলো যেহেতু মাটির অনেক নিচে, তাই সেগুলোর আসল ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

পেন্টাগনের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) ফাঁস হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এই হামলায় মাত্র “কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে।” তবে এই মূল্যায়ন “কম আত্মবিশ্বাসে” করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। অন্যান্য তথ্য এলে এই মূল্যায়ন বদলে যেতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরান হয়তো আগেই তাদের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বড় অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল।

তবে বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই বলেন, “আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা নিশ্চিত”। তবে এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।