ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

পদ্মার চরাঞ্চল থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মার চরাঞ্চল থেকে একটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) সকালে চরাঞ্চলের সুতালড়ি ইউনিয়নের বালিয়াঘোপা গ্রাম সংলগ্ন পদ্মায় জেলের চায়না দোয়াড়ি জালে আটকাপড়ে সাপটি। সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. মিজানুর মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরে সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সোহেল বিশ্বাসকে জানালে চরাঞ্চল থেকে সাপটি আন্ধারমানিক পদ্মাপাড় ট্রলারঘাটে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডিপ ইকোলজি ও স্নেক কনসারভেসন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া সাপটি উদ্ধার করতে আসেন।

তিনি বলেন, বন বিভাগের সাথে কথা বলে সাপটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম মিয়া বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিষ হেমোটক্সিন, যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। রাসেলস ভাইপার সাপ কয়েক বছর আগে শুধু বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চরগুলোতেও বিস্তার লাভ করেছে। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেলস ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে। পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

পদ্মার চরাঞ্চল থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

প্রকাশিত : ১২:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মার চরাঞ্চল থেকে একটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) সকালে চরাঞ্চলের সুতালড়ি ইউনিয়নের বালিয়াঘোপা গ্রাম সংলগ্ন পদ্মায় জেলের চায়না দোয়াড়ি জালে আটকাপড়ে সাপটি। সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. মিজানুর মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরে সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সোহেল বিশ্বাসকে জানালে চরাঞ্চল থেকে সাপটি আন্ধারমানিক পদ্মাপাড় ট্রলারঘাটে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডিপ ইকোলজি ও স্নেক কনসারভেসন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া সাপটি উদ্ধার করতে আসেন।

তিনি বলেন, বন বিভাগের সাথে কথা বলে সাপটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম মিয়া বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিষ হেমোটক্সিন, যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। রাসেলস ভাইপার সাপ কয়েক বছর আগে শুধু বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চরগুলোতেও বিস্তার লাভ করেছে। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেলস ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে। পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যায়।