ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আশ্রয় পেল বনবিড়ালের ৬টি বাচ্চা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালীতে বনবিড়ালের ৬টি বাচ্চা উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বোতলবুনিয়া গ্রামের রাজ্জাক গায়েনের বাড়ি থেকে ছোট এ বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, রোববার নিজ বসত ঘরের পেছনে বনবিড়ালের বাচ্চাগুলো দেখতে পান বোতলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক গাইন। কিন্তু কয়েকঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বাচ্চাগুলো নিতে আসেনি মা বনবিড়াল। শীতে কাতর অবস্থায় বাচ্চাগুলো ঘরে নিয়ে উষ্ণ কাপড়ে জড়িয়ে বিভিন্ন তরল খাবার খাওয়ান তিনি।

পরবর্তীতে বনবিভাগকে জানালে  সকালে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগ এর একটি টিম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যানিমাল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যরা মিলে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যান।

রাজ্জাক গায়েন বলেন, সকালে ঘরের পেছনে বাচ্চাগুলো দেখতে পাই। তখন শীতে কাঁপছিল। দেখে মনে হলো ওরা ক্ষুধার্ত। ঘরে নিয়ে ওদের তরল দুধ খেতে দিয়েছি কিন্তু খাচ্ছে না।

রাজ্জাকের কন্যা হাফসা আক্তার জানিয়েছে, ঘরে আনার পরে বাচ্চাগুলো শীতে কাতরাচ্ছিল। আমি এগুলোকে একটি বিস্কুটের বাক্সে রেখে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে দিয়েছি। শুরুতে ভাবছিলাম এগুলো শিয়ালের বাচ্চা। পরে শুনি বনবিড়াল।

অ্যানিম্যাল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্য আহমেদ কাওসার ইবু বলেন, বনবিভাগের সাথে গিয়ে আমরা বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেছি। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। ওরা এখন আমাদের সংগঠনের এক আপুর কাছে নিরাপদে আছে।

এ বিষয়ে উপকূলীয় বনবিভাগ, পটুয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেছি। বেশ কয়েকদিন না খেয়ে থাকায় ওরা ক্লান্ত ছিল, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশেষায়িত কোনো পূনর্বাসন কেন্দ্র না থাকায় আপাতত ওদের অ্যানিমাল লাভার্স অব পটুয়াখালীর জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাচ্চাগুলো লালন-পালনের পরে একটু বড় হলে নিরাপদ বনে অবমুক্ত করা হবে।

আশ্রয় পেল বনবিড়ালের ৬টি বাচ্চা

প্রকাশিত : ০৪:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীতে বনবিড়ালের ৬টি বাচ্চা উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বোতলবুনিয়া গ্রামের রাজ্জাক গায়েনের বাড়ি থেকে ছোট এ বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, রোববার নিজ বসত ঘরের পেছনে বনবিড়ালের বাচ্চাগুলো দেখতে পান বোতলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক গাইন। কিন্তু কয়েকঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বাচ্চাগুলো নিতে আসেনি মা বনবিড়াল। শীতে কাতর অবস্থায় বাচ্চাগুলো ঘরে নিয়ে উষ্ণ কাপড়ে জড়িয়ে বিভিন্ন তরল খাবার খাওয়ান তিনি।

পরবর্তীতে বনবিভাগকে জানালে  সকালে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগ এর একটি টিম ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যানিমাল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যরা মিলে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যান।

রাজ্জাক গায়েন বলেন, সকালে ঘরের পেছনে বাচ্চাগুলো দেখতে পাই। তখন শীতে কাঁপছিল। দেখে মনে হলো ওরা ক্ষুধার্ত। ঘরে নিয়ে ওদের তরল দুধ খেতে দিয়েছি কিন্তু খাচ্ছে না।

রাজ্জাকের কন্যা হাফসা আক্তার জানিয়েছে, ঘরে আনার পরে বাচ্চাগুলো শীতে কাতরাচ্ছিল। আমি এগুলোকে একটি বিস্কুটের বাক্সে রেখে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে দিয়েছি। শুরুতে ভাবছিলাম এগুলো শিয়ালের বাচ্চা। পরে শুনি বনবিড়াল।

অ্যানিম্যাল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্য আহমেদ কাওসার ইবু বলেন, বনবিভাগের সাথে গিয়ে আমরা বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেছি। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। ওরা এখন আমাদের সংগঠনের এক আপুর কাছে নিরাপদে আছে।

এ বিষয়ে উপকূলীয় বনবিভাগ, পটুয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেছি। বেশ কয়েকদিন না খেয়ে থাকায় ওরা ক্লান্ত ছিল, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশেষায়িত কোনো পূনর্বাসন কেন্দ্র না থাকায় আপাতত ওদের অ্যানিমাল লাভার্স অব পটুয়াখালীর জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাচ্চাগুলো লালন-পালনের পরে একটু বড় হলে নিরাপদ বনে অবমুক্ত করা হবে।