ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

পানিতে ভাসছে কোটি টাকার পণ্য বেনাপোলে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

ভারি বৃষ্টিপাতে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে। বন্দরের ১৬ ও ১৭ নম্বর শেডসহ বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে কোটি কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্য পানিতে ভাসছে। এতে একদিকে যেমন শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন, তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের ভেতরের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা পণ্য সামগ্রীগুলো বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, যা শ্রমিকদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বড় বাধা। তার অভিযোগ, সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এই জলাবদ্ধতার কারণে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

সাধারণ শ্রমিকরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা জীবন-জীবিকার তাগিদে বন্দরে কাজ করতে আসি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে কোনো কাজ করতে পারছি না। একদিন বৃষ্টি হলে তিন দিন ধরে জলবদ্ধতা থাকে, যার ফলে আমাদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে।

তিনি বলেন, রেলওয়ে এবং কাস্টম হাউসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে একটি সমন্বিত ও স্থায়ী প্রকল্প ছাড়া এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টম হাউস এবং বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই কমিটির সভাপতি। কমিটির সদস্য হিসেবে কাস্টম হাউস, স্থলবন্দর, রেলওয়ে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও একজন নির্বাহী প্রকৌশলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তবে এই কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো সমাধান আসেনি, যা বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পানিতে ভাসছে কোটি টাকার পণ্য বেনাপোলে

প্রকাশিত : ১০:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ভারি বৃষ্টিপাতে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে। বন্দরের ১৬ ও ১৭ নম্বর শেডসহ বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে কোটি কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্য পানিতে ভাসছে। এতে একদিকে যেমন শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন, তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের ভেতরের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা পণ্য সামগ্রীগুলো বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, যা শ্রমিকদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বড় বাধা। তার অভিযোগ, সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এই জলাবদ্ধতার কারণে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

সাধারণ শ্রমিকরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা জীবন-জীবিকার তাগিদে বন্দরে কাজ করতে আসি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে কোনো কাজ করতে পারছি না। একদিন বৃষ্টি হলে তিন দিন ধরে জলবদ্ধতা থাকে, যার ফলে আমাদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে।

তিনি বলেন, রেলওয়ে এবং কাস্টম হাউসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে একটি সমন্বিত ও স্থায়ী প্রকল্প ছাড়া এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টম হাউস এবং বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই কমিটির সভাপতি। কমিটির সদস্য হিসেবে কাস্টম হাউস, স্থলবন্দর, রেলওয়ে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও একজন নির্বাহী প্রকৌশলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তবে এই কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো সমাধান আসেনি, যা বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।