পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ৮ শিশুসহ ২৪ জন নারী-পুরুষকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিজিবির দাবি, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরিচয় নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বিজিবি ছয়জনকে পঞ্চগড় সদর থানায় ও ১৭ জনকে বোদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাতে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা দাড়িয়ার মোড় সীমান্ত দিয়ে ৬ নারী, ৫ শিশু ও ৬ পুরুষসহ মোট ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বোদা থানায় হস্তান্তর করেন।
পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছিলেন। সম্প্রতি দিল্লি ও গুজরাট এলাকা থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। পরে গভীর রাতে তাদের সীমান্ত এলাকায় এনে বাংলাদেশে পুশ ইন করে দেওয়া হয়।
আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিজিবি আমাদের কাছে ১৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে হস্তান্তর করেছে। তাদের সঠিক পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই চলছে। যাচাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া ৬ জনকে বিজিবি জিডির ভিত্তিতে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। আপাতত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ মোট ২৪ জনকে পুশ ইন করেছে। বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। এর মধ্যে একজন সঠিকভাবে নিজের পরিচয় জানাতে পারেনি, তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৩ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।