ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

ঢাবি ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান জামায়াতের মহাসমাবেশ শেষে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৬৫ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক। এতে অংশ নেন শাহবাগ পশ্চিম থানা ও আশপাশের এলাকার জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশস্থলের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেকে নামাজ, খাবার ও বিশ্রামের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ব্যবহার করেন। ফলে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ শেষে নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেন।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, হাকিম চত্বর, কলাভবন সংলগ্ন আমতলা, অপরাজেয় বাংলা, মলচত্বর, ভিসি চত্বর ও টিএসসি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়।

অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ, এখানকার শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সচেতন। তাই নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

শাহবাগ পশ্চিম থানার কোষাধ্যক্ষ তানভীর আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। ক্যাম্পাসে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে কিছুটা অপরিচ্ছন্নতা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে জনসমাগম হয়েছে, সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে।

তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বেও আলাদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী।

ঢাবি ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান জামায়াতের মহাসমাবেশ শেষে

প্রকাশিত : ০৮:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক। এতে অংশ নেন শাহবাগ পশ্চিম থানা ও আশপাশের এলাকার জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশস্থলের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেকে নামাজ, খাবার ও বিশ্রামের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ব্যবহার করেন। ফলে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ শেষে নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেন।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, হাকিম চত্বর, কলাভবন সংলগ্ন আমতলা, অপরাজেয় বাংলা, মলচত্বর, ভিসি চত্বর ও টিএসসি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়।

অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ, এখানকার শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সচেতন। তাই নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

শাহবাগ পশ্চিম থানার কোষাধ্যক্ষ তানভীর আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। ক্যাম্পাসে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে কিছুটা অপরিচ্ছন্নতা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে জনসমাগম হয়েছে, সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে।

তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বেও আলাদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী।