পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের কোনো বন্দরই আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে ওঠেনি। দেশে পায়রা বন্দর নামে নতুন বন্দর তৈরি করা হয়েছে। এখন আমরা এ বন্দর নিয়ে কী করতে পারি, তা ভাবছি এবং নতুন এ বন্দরের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে নতুন সরকার এসে এ বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। পায়রা বন্দরকে ঘিরে বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। আমরা পায়রা বন্দরকে গ্রীণ পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি অভিজাত হোটেলে ‘পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাস্টারপ্লান’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা বেসরকারি এবং বিদেশীদের বলছি তাঁরা যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বরিশালে যদি আমরা কনটেইনার টার্মিনাল করি, তাহলে হয়তো ভালো হবে। আমাদের দেশের নদী পথ যেন আরও সচল হয়, সে জন্যও আমি চেষ্টা করছি। পায়রা বন্দর পর্যন্ত যদি রেল লাইন চলে আসে, তাহলে এ বন্দর আরও কার্যকর হবে।’
জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এ কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় বৃষ্টি হচ্ছে, যখন আমাদের বৃষ্টির প্রয়োজন নাই। আবার এত বেশি গরম পড়ছে, খরা হচ্ছে যাও সহনশীল নয়। এসব জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব।’
পায়রা বন্দরে পার্শ্ববর্তী দেশের মাধ্যমে আরও দুটি টার্মিনাল করার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছেনা বলে জানান। হয়তো পরবর্তীতে এ টার্মিনাল তৈরি হতে পারে বলে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল ২০২৬ সালের জুলাই মাস হতে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রস্তুতি ও সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া ড্রেজিংসহ অত্যাবশ্যক কয়েকটি কাজ সম্পাদনে তিনি সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল এবং নেদারল্যান্ডের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে পায়রা বন্দরের জন্য মাস্টারপ্লান তৈরি করেছে। তাঁদের গবেষণালব্দ এ মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যতে বন্দরটি দেশের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী তিন বছরের মধ্যে পায়রা বন্দর রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। পায়রা বন্দরকে সচল রাখতে হলে ড্রেজিং করতে হবে। ড্রেজার ক্রয় করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে ।এছাড়াও বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যাতে স্থানীয় পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রেখে বন্দরের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, দপ্তর, সামরিক-বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ব্যবহারকারী-অংশীজন, মাস্টারপ্লান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ও নেদারল্যান্ড রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি এর প্রতিনিধি এবং ইলেঅট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
‘পায়রা বন্দরকে গ্রীণ পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই’- নৌ পরিবহন উপদেষ্টা
-
ডেস্ক রিপোর্ট
- প্রকাশিত : ০৬:৪৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- ৪৪ বার দেখা হয়েছে
জনপ্রিয় সংবাদ