রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজ, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী করতে মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সার্কুলারে রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিদ্যমান নির্দেশনা একত্রে সংকলিত হয়েছে। ফলে এখন থেকে একটিমাত্র নির্দেশনাতেই রপ্তানিকারক ও ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও নির্দেশনা পাবে।
গত ৩১ জুলাই নির্দেশনাটি জারি করেছে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারটি জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
এতে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক থেকে পণ্য রপ্তানি, ওপেন অ্যাকাউন্টের আওতায় লেনদেন, ই-কমার্স ও ডিজিটাল সেবা রপ্তানি, অন্ট্রাপো ট্রেড, মার্চেন্টিং ট্রেড ও কাউন্টার ট্রেডসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, রপ্তানি লেনদেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আগে রপ্তানির নিয়মকানুন জানতে একাধিক সার্কুলার খুঁজে দেখতে হতো, যার ফলে অনেকে বিভ্রান্ত হতেন। এবার সব নির্দেশনা এক জায়গায় থাকায় রপ্তানিকারক ও অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর জন্য নিয়ম মেনে কাজ করা অনেক সহজ হবে, এবং লেনদেন প্রক্রিয়াও হবে দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত।
একজন শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বলেন, এই মাস্টার সার্কুলারের মাধ্যমে বহুদিনের জটিলতা দূর হয়েছে। এখন এক জায়গায় সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে, যা আমাদের ব্যবসা পরিচালনায় অনেক সহায়তা করবে।
নতুন সার্কুলারে ই-কমার্স ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবার মতো উদীয়মান খাতগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের আধুনিক ধারা অনুযায়ী সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ।
অনেকেই মনে করছেন, রপ্তানির মতো অন্যান্য ক্ষেত্র—যেমন আমদানি, বৈদেশিক ঋণ বা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ—নিয়েও এমন মাস্টার সার্কুলার জারি হলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ব্যবসার সুবিধা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের রপ্তানি খাতকে আরও গতিশীল করে তুলবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।