পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
কুয়াকাটা বেড়াতে এসে সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে মিয়া সামাদ সিদ্দিকী (১৮) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘন্টা পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সৈকতের শুণ্য পয়েন্টের পশ্চিম দিকে বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে ডুবুরি, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সামাদ সিদ্দিকীকে সাগর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার এবং তাৎক্ষনিত তাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী এখবর নিশ্চিত করেন।
পর্য়টক মিয়া সামাদ সিদ্দিকীর বাড়ি মাগুরা সদরে এবং তার পিতার নাম আতাউল ইসলাম।
নিহত পর্যটকের সঙ্গীরা জানান , গত মঙ্গলবার খুলনা থেকে মিয়া সামাদ সিদ্দিকীসহ তারা সাত বন্ধু ভ্রমনে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আজ বুধবার সকালে তারা কুয়াকাটা পৌছেন এবং কুয়াকাটায় হোটেল সৈকত নামের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারা আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুয়াকাটা শুণ্য পয়েন্টের পশ্চিম দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামেন সামাদ সিদ্দিকী । পানিতে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ সাগরে পানির স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়।
ঢেউয়ের তোড়ে তিনজন ভেসে গেলে দু’জনকে টেনে তোলা গেলেও সামাদ হারিয়ে যান চোখের সামনে।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কলাপাড়া ইউনিটের সদস্য ও পটুয়াখালী থেকে বিশেষ ডুবুরি ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজে নেমে পরে।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক তারা এবং ট্যুরিষ্ট পুলিশ স্থানীয়দের নিয়ে পর্যটককে উদ্ধারে সাগরে অভিযান শুরু করি।
ফায়ার সার্ভিস কলাপাড়ার টিম লিডার শাহাদাত হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি। টুরিস্ট পুলিশ নৌ পুলিশ ও স্থানীয়দের নিয়ে নিখোঁজ পর্যটককে তিন ঘন্টা পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ হাসান জানান, নিহত পর্যটকের বাড়ি মাগুরা সদরে। পরিবারকে খবর জানানো হয়েছে। তারা কুয়াকাটায় আসছেন।