সারা দেশে কতগুলো অরক্ষিত ম্যানহোল, ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইন আছে, তার একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এই তালিকা তৈরি করতে বলেছেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং ওই দিনই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই সঙ্গে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিহত ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান, মনি ট্রেডিং করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গাফিলতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে গাজীপুর মহানগরী বা সিটি করপোরেশনে কতগুলো স্যুয়ারেজ, ম্যানহোল, ড্রেন ও নলকূপ খোলা অবস্থায় আছে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অরক্ষিত ড্রেন এবং ম্যানহোলে পড়ে গেলে বা দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কী কী আধুনিক সরঞ্জামাদি আছে তার তথ্যও চাওয়া হয় রিটে।
এছাড়াও ম্যানহোলে পড়ে নিহত ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয় রিটে। এতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান, মনি ট্রেডিং করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রেসপন্ডেন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ, অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট রবি হোসেন গত ৩ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন।
নিখোঁজের তিনদিন পর গত ২৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিল থেকে ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতির (৩২) মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ওইদিন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম বলেন, ফারিয়া তাসনিম যে ড্রেনে পড়েছিলেন, সেই ড্রেনের পানি শালিকচূড়া বিলে গিয়ে পড়ে। সকালে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ডেস্ক রিপোর্ট 























