ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

দখলদারিত্বের অভিযোগ মাঝিদের বিরুদ্ধে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৯ বার দেখা হয়েছে

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার করিমবাজার-ভাসানচর নৌরুটের করিমবাজার ঘাটে স্থানীয় মাঝিদের দখলদারিত্বের অভিযোগ তুলেছেন ঘাট ইজারাদাররা। তারা জানিয়েছেন, বৈধভাবে ঘাট ইজারা নেওয়ার পরও মাঝিরা জোরপূর্বক দখলে রেখে পরিচালনা করছেন, যা সরকারি রাজস্ব আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ঘাট ইজারাদার মো. শাহাব উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত ইজারা নিয়েছি। তারপরও আমিন, রহিম, হুমায়ুন ও আলাউদ্দিন মাঝি প্রভাব খাটিয়ে ঘাট দখল করে রেখেছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে যাত্রী ও শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

আরেক ইজারাদার মো. ইসমাইল বলেন, আমরা ছয় লাখ টাকা দিয়ে ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু মাঝিরা কিছু প্রভাবশালী লোকের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। চার মাস পার হয়ে গেছে, এখনো আমরা কোনো রাজস্ব আদায় করতে পারিনি বরং আরও ঋণী হয়ে পড়েছি। থানা, ইউএনও অফিস সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। আমরা ন্যায্য ও সুষ্ঠু সমাধান চাই।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আমিন মাঝি বলেন, করিমবাজার ঘাট ভেঙে গেছে, তাই আমরা এখন ভূমিহীন বাজার হয়ে চেয়ারম্যানঘাটে যাই। সেখানে এম কে বেলালকে ঘাটের টাকা দিই। তিনি বলেছেন তার ইজারা আছে, তাই তাকেই টাকা দিতে বলা হয়েছে।

তবে ঘাট ইজারার বিষয়টি অস্বীকার করে এম কে বেলাল বলেন, আমি কেবল ভূমিহীন বাজারের ইজারা নিয়েছি এবং বাজারের টোল আদায় করি। আমার কাছে বাজারের টোল আদায়ের বৈধ কাগজ রয়েছে। এখানে কোনো ঘাট নেই, তাই ঘাটের নামে টাকা আদায়ের প্রশ্নই ওঠে না।

এ বিষয়ে ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। তবে সমস্যার মূল উৎস হলো মাঝিদের অনিয়ম। তারা নিয়ম মেনে চললে এমন পরিস্থিতি হতো না। আমার পক্ষে কিছু করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবো।

দখলদারিত্বের অভিযোগ মাঝিদের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত : ০৮:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার করিমবাজার-ভাসানচর নৌরুটের করিমবাজার ঘাটে স্থানীয় মাঝিদের দখলদারিত্বের অভিযোগ তুলেছেন ঘাট ইজারাদাররা। তারা জানিয়েছেন, বৈধভাবে ঘাট ইজারা নেওয়ার পরও মাঝিরা জোরপূর্বক দখলে রেখে পরিচালনা করছেন, যা সরকারি রাজস্ব আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ঘাট ইজারাদার মো. শাহাব উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত ইজারা নিয়েছি। তারপরও আমিন, রহিম, হুমায়ুন ও আলাউদ্দিন মাঝি প্রভাব খাটিয়ে ঘাট দখল করে রেখেছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে যাত্রী ও শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

আরেক ইজারাদার মো. ইসমাইল বলেন, আমরা ছয় লাখ টাকা দিয়ে ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু মাঝিরা কিছু প্রভাবশালী লোকের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। চার মাস পার হয়ে গেছে, এখনো আমরা কোনো রাজস্ব আদায় করতে পারিনি বরং আরও ঋণী হয়ে পড়েছি। থানা, ইউএনও অফিস সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। আমরা ন্যায্য ও সুষ্ঠু সমাধান চাই।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আমিন মাঝি বলেন, করিমবাজার ঘাট ভেঙে গেছে, তাই আমরা এখন ভূমিহীন বাজার হয়ে চেয়ারম্যানঘাটে যাই। সেখানে এম কে বেলালকে ঘাটের টাকা দিই। তিনি বলেছেন তার ইজারা আছে, তাই তাকেই টাকা দিতে বলা হয়েছে।

তবে ঘাট ইজারার বিষয়টি অস্বীকার করে এম কে বেলাল বলেন, আমি কেবল ভূমিহীন বাজারের ইজারা নিয়েছি এবং বাজারের টোল আদায় করি। আমার কাছে বাজারের টোল আদায়ের বৈধ কাগজ রয়েছে। এখানে কোনো ঘাট নেই, তাই ঘাটের নামে টাকা আদায়ের প্রশ্নই ওঠে না।

এ বিষয়ে ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। তবে সমস্যার মূল উৎস হলো মাঝিদের অনিয়ম। তারা নিয়ম মেনে চললে এমন পরিস্থিতি হতো না। আমার পক্ষে কিছু করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবো।