ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

এক মাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি, ক্ষতি ১০ লাখেরও বেশি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় একের পর এক চুরি হচ্ছে ইটভাটার বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার। ভাটার নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রেখে খুলে নেওয়া হচ্ছে ট্রান্সফরমারের ভেতরের তামার কয়েল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে এবং চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ওকড়াবাড়ী মোড়ে মেসার্স মিতা ব্রিকস ইটভাটার ৩টি, পার্শ্ববর্তী মনুরছড়া গ্রামে আনোয়ার হোসেনের সেচকাজে ব্যবহৃত ২টি, সদর ইউনিয়নের কতমতলীতে মেসার্স এসএ ব্রিকস ইটভাটার ৩টি এবং কালীগঞ্জ এলাকার একটি আবাসিক বাড়ি থেকে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ চুরির ঘটনা ঘটে গত বুধবার রাতে, মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটায়। সেদিন রাতেই ভাটাটি থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা ধরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটার নৈশপ্রহরী আইদুল ইসলাম জানান, রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জন মুখোশধারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ও রাশেদ নামের এক যুবককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ভাটার চিমনির নিচে ফেলে রেখে যায়। এরপর তারা খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার খুলে ভেতরের তামার কয়েল নিয়ে পালিয়ে যায়।

একই ধরনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মিতা ব্রিকস ইটভাটার প্রহরী হোসেন আলী। তিনি বলেন, ৫-৬ জন মুখোশধারী এসে তাকে বেঁধে ঘরের ভেতর রেখে যায়। পরে সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি মুক্ত হন। চোরেরা কয়েল নিয়ে ট্রান্সফরমারের বাকি অংশ ফেলে রেখে গেছে।

মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, সব চুরির ধরন একই। যেসব চোর এসব করছে, তারা স্পষ্টতই বিদ্যুৎ কাজের সাথে অভিজ্ঞ। সাধারণ কেউ এত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারে না।

ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রনজু জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও চোরেরা ক্যামেরার যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করেছি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর পীরগাছা জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ চুরির ঘটনায় বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত কিছু ঠিকাদার জড়িত থাকতে পারে। চুরি হওয়া ১২টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ৯টি গ্রাহকের এবং ৩টি বিদ্যুৎ অফিসের মালিকানাধীন।

পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক মাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি, ক্ষতি ১০ লাখেরও বেশি

প্রকাশিত : ০৫:০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় একের পর এক চুরি হচ্ছে ইটভাটার বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার। ভাটার নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রেখে খুলে নেওয়া হচ্ছে ট্রান্সফরমারের ভেতরের তামার কয়েল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে এবং চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ওকড়াবাড়ী মোড়ে মেসার্স মিতা ব্রিকস ইটভাটার ৩টি, পার্শ্ববর্তী মনুরছড়া গ্রামে আনোয়ার হোসেনের সেচকাজে ব্যবহৃত ২টি, সদর ইউনিয়নের কতমতলীতে মেসার্স এসএ ব্রিকস ইটভাটার ৩টি এবং কালীগঞ্জ এলাকার একটি আবাসিক বাড়ি থেকে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ চুরির ঘটনা ঘটে গত বুধবার রাতে, মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটায়। সেদিন রাতেই ভাটাটি থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা ধরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটার নৈশপ্রহরী আইদুল ইসলাম জানান, রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জন মুখোশধারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ও রাশেদ নামের এক যুবককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ভাটার চিমনির নিচে ফেলে রেখে যায়। এরপর তারা খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার খুলে ভেতরের তামার কয়েল নিয়ে পালিয়ে যায়।

একই ধরনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মিতা ব্রিকস ইটভাটার প্রহরী হোসেন আলী। তিনি বলেন, ৫-৬ জন মুখোশধারী এসে তাকে বেঁধে ঘরের ভেতর রেখে যায়। পরে সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি মুক্ত হন। চোরেরা কয়েল নিয়ে ট্রান্সফরমারের বাকি অংশ ফেলে রেখে গেছে।

মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, সব চুরির ধরন একই। যেসব চোর এসব করছে, তারা স্পষ্টতই বিদ্যুৎ কাজের সাথে অভিজ্ঞ। সাধারণ কেউ এত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারে না।

ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রনজু জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও চোরেরা ক্যামেরার যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করেছি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর পীরগাছা জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ চুরির ঘটনায় বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত কিছু ঠিকাদার জড়িত থাকতে পারে। চুরি হওয়া ১২টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ৯টি গ্রাহকের এবং ৩টি বিদ্যুৎ অফিসের মালিকানাধীন।

পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।