ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

নুরের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নিজ আসন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। তালিকায় পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও ২ ও ৩ নম্বর আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।


বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন ছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে আসনটি গণঅধিকার পরিষদের জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে দলীয় ও জোটসংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করছেন।
এর আগেই গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জেলা বিএনপি নেতাদের জানানো হয়েছিল, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই নুরুল হক নুরের সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হবে।”
এই নির্দেশনার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে নুরুল হক নুর ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “প্রিয় গলাচিপা–দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিএনপি পটুয়াখালী–৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে, ইনশাআল্লাহ।”


এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “অতীতে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রত্যাশা, আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করব। এই আসন থেকেই আমি প্রার্থী হব। এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি, তাই আমরা অপেক্ষা করছি।”
রাজনৈতিক মহলে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, বিএনপির প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে জোট রাজনীতির অংশ। এর মধ্য দিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে মাঠে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তালিকায় পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আর পটুয়াখালী-৪ আসনে দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন।
স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুরের প্রার্থিতা ও বিএনপির কৌশল।

নুরের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

প্রকাশিত : ০৫:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নিজ আসন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। তালিকায় পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও ২ ও ৩ নম্বর আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।


বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন ছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে আসনটি গণঅধিকার পরিষদের জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে দলীয় ও জোটসংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করছেন।
এর আগেই গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জেলা বিএনপি নেতাদের জানানো হয়েছিল, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই নুরুল হক নুরের সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হবে।”
এই নির্দেশনার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে নুরুল হক নুর ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “প্রিয় গলাচিপা–দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিএনপি পটুয়াখালী–৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে, ইনশাআল্লাহ।”


এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “অতীতে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রত্যাশা, আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করব। এই আসন থেকেই আমি প্রার্থী হব। এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি, তাই আমরা অপেক্ষা করছি।”
রাজনৈতিক মহলে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, বিএনপির প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে জোট রাজনীতির অংশ। এর মধ্য দিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে মাঠে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তালিকায় পটুয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আর পটুয়াখালী-৪ আসনে দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন।
স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুরের প্রার্থিতা ও বিএনপির কৌশল।