ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি পুড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর ইরানি এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির বাইরে থেকে পরিচালিত বিরোধীদের গণমাধ্যমের খবরে এই মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন শোকাহতরা।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় লোরেস্তান প্রদেশের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম ওমিদ সারলাক। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, তিনি একটি বনের মাঝে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার এক সপ্তাহ না যেতেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ আলিগুদারজ শহরের পুলিশপ্রধান আলি আসাদোল্লাহির বরাত দিয়ে বলেছে, এক ব্যক্তির মরদেহ গাড়ির ভেতর পাওয়া গেছে এবং পাশে একটি পিস্তল ছিল। তিনি নিজে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সোমবার ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি ‘‘বিপ্লববিরোধী গণমাধ্যমের’’ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সারলাকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না এবং তিনি নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সারলাকের বাবাকে কাঁদতে দেখা যায়। সেখানে তিনি বলছেন, ‘‘ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।’’ যদিও পরবর্তীতে স্থানীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখছেন, তা বিশ্বাস করবেন না।’’

ইরানি মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তিন বছর আগে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইরানের সরকার আবারও ভিন্নমত দমনে অভিযান জোরদার করেছে।

ইরানে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত মাই সাতো গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ইরানে বাইরের আগ্রাসন অভ্যন্তরীণ দমন অভিযানকে আরও তীব্র করে তুলেছে। তিনি দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার ও বিরোধীদের ধরপাকড় উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত : ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি পুড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর ইরানি এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির বাইরে থেকে পরিচালিত বিরোধীদের গণমাধ্যমের খবরে এই মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন শোকাহতরা।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় লোরেস্তান প্রদেশের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম ওমিদ সারলাক। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, তিনি একটি বনের মাঝে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার এক সপ্তাহ না যেতেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ আলিগুদারজ শহরের পুলিশপ্রধান আলি আসাদোল্লাহির বরাত দিয়ে বলেছে, এক ব্যক্তির মরদেহ গাড়ির ভেতর পাওয়া গেছে এবং পাশে একটি পিস্তল ছিল। তিনি নিজে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সোমবার ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি ‘‘বিপ্লববিরোধী গণমাধ্যমের’’ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সারলাকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না এবং তিনি নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সারলাকের বাবাকে কাঁদতে দেখা যায়। সেখানে তিনি বলছেন, ‘‘ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।’’ যদিও পরবর্তীতে স্থানীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখছেন, তা বিশ্বাস করবেন না।’’

ইরানি মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তিন বছর আগে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইরানের সরকার আবারও ভিন্নমত দমনে অভিযান জোরদার করেছে।

ইরানে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত মাই সাতো গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ইরানে বাইরের আগ্রাসন অভ্যন্তরীণ দমন অভিযানকে আরও তীব্র করে তুলেছে। তিনি দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার ও বিরোধীদের ধরপাকড় উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।