স্রেফ এক রানের অপেক্ষা নিয়ে গতকাল (বুধবার) মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এদিনই বাংলাদেশের প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে তিনি শততম টেস্টের মাইলফলক পূর্ণ করেছিলেন। এমন ম্যাচ সেঞ্চুরি দিয়েই রাঙালেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে তিনি কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ, জাভেদ মিঁয়াদাদ, ইনজামাম-উল-হক ও গ্রায়েম স্মিথদের কাতারে ঢুকে গেলেন।
৯৯ রানে অপরাজিত থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) ক্রিজে আসেন মুশফিক। সঙ্গী আগেরদিন ৪৭ রান করা লিটন দাস। মুশফিক ম্যাথু হাম্প্রিসের করা প্রথম ওভারটা ঠাণ্ডা মাথায় কাটিয়ে দেন। পরের ওভারে লিটন আসেন স্ট্রাইকে, জর্ডান নিলের করা প্রথম বলেই তিনি সিঙ্গেল রান নেন। মুশফিক তৃতীয় বলটি স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে নিজের অপূর্ণ ম্যাজিক ফিগারটা পূর্ণ করে প্রসারিত করেন দু’হাত। এরপর কৃতজ্ঞতা জানান সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
শততম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করার কীর্তিতে বাংলাদেশের এই তারকা বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলে এমন মাইলফলক ম্যাচে সেঞ্চুরির ঘটনা ১২তম বার ঘটল। এর মধ্য দিয়ে মুশফিক ১১ কিংবদন্তির তালিকায় যুক্ত হলেন, এর মধ্যে সর্বশেষ দুজন জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার অবশ্য শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।

মুশফিক ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে মুমিনুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩তম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হাম্প্রিসের হালকা বাউন্স ও ঘূর্ণিতে স্লিপে অ্যান্ডি বালবার্নিকে ক্যাচ দিয়েছেন শততম ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান। মুশফিক ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫টি চারের সাহায্যে। তার বিদায়ে ভাঙল লিটনের সঙ্গে গড়া ১০৮ রানের জুটি। ৩১০ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।সতীর্থের স্মরণীয় সেঞ্চুরির পরের বলেই লিটন চার হাঁকিয়ে টেস্টে ২০তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই মুহূর্তে তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগেরদিন স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে ২৯২ রান তুলে দিন শেষ করেছিল।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















