নভেম্বরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ব্যস্ততা। মাঠের খেলার পাশাপাশি মাঠের বাইরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে বেশ কৌতুহল ছিল ক্রীড়াঙ্গনের। সহ-সভাপতি, মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়ছে না অলিম্পিকে। পদের বিপরীতে অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েনি এবং যারা জমা দিয়েছেন তাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে মহাসচি, ৫ জন সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২২ জন সদস্য।
বাফুফে, বিসিবি সভাপতির পর ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত পদ অলিম্পিকের মহাসচিব। সেই পদে এবার বসতে যাচ্ছেন সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা। মহাসচিব হওয়ার পথে থাকা রানা বলেন, ‘এমন কিছু করতে চাই যেন পিছিয়ে না যাই, আগে যা হয়েছে তার চেয়ে যেন ভালো কিছুই হয় আরো।’
অলিম্পিক এসোসিয়েশন মূলত গেমস নিয়েই কাজ করে। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য সকল ফেডারেশনে নানাবিধ সমস্যা। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের বড়ই অভাব অনেক ফেডারেশনের। তাই প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনে বেশি জোর দেয়ার তাগিদ রানার, ‘সব ডিসিপ্লিনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। সারা বছর যেন প্রশিক্ষণ হয় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে চেষ্টা করব। আল্টিমেটলি বাজেটের ঘাটতি আছে, সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সকল কিছু মিলিয়ে জোগাড় করার চেষ্টা করব।’

ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য সকল ফেডারেশন অ্যাডহক কমিটি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যে কোনো সময় কমিটি ভাঙার এখতিয়ার রাখে। বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনে জোর গুঞ্জন, জাতীয় নির্বাচনের পর আরেক দফা বদলাতে পারে ফেডারেশনগুলোর কমিটি। অ্যাডহক কমিটির প্রতিনিধি নিয়ে অলিম্পিক এসোসিয়েশনে নির্বাচন হচ্ছে। পরবর্তীতে ফেডারেশনের কমিটিতে পরিবর্তন আসলে অলিম্পিকে কার্যকর প্রতিনিধিত্বের সংকট থাকবে। এ রকম সংকট অতি আসন্ন হলেও অলিম্পিকের মহাসচিব হতে যাওয়া রানা এ নিয়ে তেমন চিন্তিত নন, ‘এটা গঠনতন্ত্রের ব্যাপার। ফেডারেশনের পরিবর্তন কিংবা ভবিষ্যতে কি হবে সেটা এখনই চিন্তা করা যায় না।’
৫ আগস্ট পরবর্তী সময় ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছিল। ঐ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জোবায়েদুর রহমান রানা। ঐ কমিটি মূলত ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, নির্বাচন বিধিমালা পর্যালোচনার জন্য গঠিত হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠনে কাজ করে। সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ফুটবল, ক্রিকেট বাদে বাকি সকল ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে। সেই অ্যাডহক কমিটির প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর হয়েছে। সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা ও অন্যতম সদস্য মেজর ইমরোজ আহমেদ অলিম্পিকের মহাসচিব ও সহ-সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় স্বার্থের সংঘাত দেখছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে। এ নিয়ে রানার মন্তব্য, ‘এখানে স্বার্থের সংঘতের কিছু নেই। কে কাউন্সিলর হয়ে আসবে এটা তো আমি জানব না। আমি তো কোনো ফেডারেশনের প্রতিনিধি হয়েও আসিনি। অলিম্পিকের নির্বাচন উন্মুক্ত ফিল্ড। যারা আগ্রহী নির্বাচন করছে।’

ডেস্ক রিপোর্ট 






















