ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ঢাবি অধ্যাপক গোলাম রব্বানী পেলেন ‘নকীব পদক’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

শিশু সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ‘নকীব পদক’ অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা মাসিক নকীব আয়োজিত ‘সীরাত কার্নিভাল–২০২৫’ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল বিকাশে কাজ করে আসছে মাসিক নকীব। পত্রিকাটির উদ্যোগে নকীব পদক প্রদান, জাতীয় সীরাত শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতা, ‘নকীব একাডেমি’র আত্মপ্রকাশ এবং নিয়মিত সাহিত্য আসর পরিচালনা করা হচ্ছে, যা শিশুদের সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।

এবারের আয়োজনে অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর পাশাপাশি কবি, তাত্ত্বিক ও গবেষক মুসা আল হাফিজ এবং মাসিক নকীব-এর সম্পাদক জিয়াউল আশরাফ নকীব পদকে ভূষিত হন।

অনুষ্ঠানে ‘শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বিজয়ীদের পুরস্কার, নগদ অর্থ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক রব্বানী বলেন, প্রত্যেক পুরষ্কারের পর মানুষের দায়িত্ব বেড়ে যায়। শিশু সাহিত্যে আমার দায়িত্ব এখন আরও বৃদ্ধি পেল। এই পুরষ্কার আমাকে নতুন অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, গবেষণার চাপ থাকলেও শিশুদের নিয়ে এখন থেকে আরও বেশি কাজ করার চেষ্টা করবো। শিশুরাই ভবিষ্যৎ- তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে সুন্দর দেশ পাওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাসিক নকীব-এর উপদেষ্টা ও পীর সাহেব খুলনা অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সভাপতিত্ব করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর। নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল আজিজ নোমান ও সহযোগী সম্পাদক সাঈদ আবরার যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মানসম্মত জার্নালে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ২৫টি, আরও কয়েকটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে এসব গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার দুই শতাধিক সাধারণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে নবীন লেখক হিসেবে গড়ে উঠেছেন পাঁচ শতাধিক সাহিত্যপ্রেমী, যাদের অনেকেই বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত লেখক।

ঢাবি অধ্যাপক গোলাম রব্বানী পেলেন ‘নকীব পদক’

প্রকাশিত : ১০:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

শিশু সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ‘নকীব পদক’ অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা মাসিক নকীব আয়োজিত ‘সীরাত কার্নিভাল–২০২৫’ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল বিকাশে কাজ করে আসছে মাসিক নকীব। পত্রিকাটির উদ্যোগে নকীব পদক প্রদান, জাতীয় সীরাত শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতা, ‘নকীব একাডেমি’র আত্মপ্রকাশ এবং নিয়মিত সাহিত্য আসর পরিচালনা করা হচ্ছে, যা শিশুদের সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।

এবারের আয়োজনে অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর পাশাপাশি কবি, তাত্ত্বিক ও গবেষক মুসা আল হাফিজ এবং মাসিক নকীব-এর সম্পাদক জিয়াউল আশরাফ নকীব পদকে ভূষিত হন।

অনুষ্ঠানে ‘শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বিজয়ীদের পুরস্কার, নগদ অর্থ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক রব্বানী বলেন, প্রত্যেক পুরষ্কারের পর মানুষের দায়িত্ব বেড়ে যায়। শিশু সাহিত্যে আমার দায়িত্ব এখন আরও বৃদ্ধি পেল। এই পুরষ্কার আমাকে নতুন অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, গবেষণার চাপ থাকলেও শিশুদের নিয়ে এখন থেকে আরও বেশি কাজ করার চেষ্টা করবো। শিশুরাই ভবিষ্যৎ- তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে সুন্দর দেশ পাওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাসিক নকীব-এর উপদেষ্টা ও পীর সাহেব খুলনা অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সভাপতিত্ব করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর। নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল আজিজ নোমান ও সহযোগী সম্পাদক সাঈদ আবরার যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মানসম্মত জার্নালে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ২৫টি, আরও কয়েকটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে এসব গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার দুই শতাধিক সাধারণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে নবীন লেখক হিসেবে গড়ে উঠেছেন পাঁচ শতাধিক সাহিত্যপ্রেমী, যাদের অনেকেই বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত লেখক।