বরিশাল প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মৌসুমের শুরুতেই পল্লি নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শুটকি তৈরি শ্রমিকরা। শুঁটকি পল্লীতে এখন যেন দম ফেলারও সময় নেই। শীতের বাজার ধরতে পল্লীতে, বাসা, চাং ও দোকান নির্মাণে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকরা। চার মাসের মৌসুমে প্রায় কোটি কোটি টাকার কেমিক্যালমুক্ত শুঁটকি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কেমিক্যালমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা দেশে বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শীতের প্রথম বাজার ধরতে পল্লীতে চাং, বাসা ও দোকান নির্মাণে দিনরাত কাজ করছে শ্রমিকরা। তারই ধারাবাহিকতায় একদিন পরে পুরোদমে শুরু হবে শুঁটকি করার কাজ যা প্রায় সাড়ে চারমাস ধরে চলবে।

স্থানীয় এক শ্রমিক বলেন, প্রতি বছর নভেম্বরের শুরু থেকেই শুটকি মৌসুম শুরু হয়। তাই এখন দিনরাত পরিশ্রম করে পল্লি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শিগগিরই এখানকার মাছ ধরার নৌযানগুলো সমুদ্র থেকে মাছ নিয়ে ফিরলে শুরু হবে শুটকি তৈরির ব্যস্ততা।
তিনি আরও বলেন, একটি পল্লী নির্মাণে প্রায় ১৮ দিন সময় প্রয়োজন হয় তাদের। কেমিক্যাল মুক্ত ও পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে শুঁটকি তৈরি করায় এখানে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়লে এবার শুটকি উৎপাদনে ভালো মৌসুম হবে বলে আশা করছেন তারা।
শুটকি মৌসুম ঘিরে কুয়াকাটার এই পল্লিগুলোতে তৈরি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শুঁটকি প্রস্তুতকারী ইউসুফ মৃধা বলেন, এ পল্লীতে লইট্ট্যা, ফাইস্যা, ছুরি, ছোট চিংড়ি, ছোট পোয়া, রূপচাঁদা, লাক্ষাসহ প্রায় ৩০ জাতের মাছ শুঁটকি করা হয়। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক বলেন, কুয়াকাটায় সকল কিছু পরিকল্পিতভাবে করা হবে। কুয়াকাটায় যারা মাছ শুঁটকি করে থাকে তারা বেশ ভালো অভিজ্ঞ। শুঁটকি প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাদের একই ছাতার নিচে আনা হবে। প্রস্তুতকারীদের একটি স্থায়ী জায়গায় দেওয়া হবে। যাতে বিশৃঙ্খল ভাবে কেহ শুটকি শুকাতে না পারে। ইতোমধ্যে কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















