দুর্নীতির মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের ঢাকার গুলশান, আশুলিয়া এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে থাকা ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গুলশানে ৬৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ জমির মূল্য ২৬ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এসব সম্পত্তি ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, নজরুল ইসলাম মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করে নিজ ভোগ দখলে রাখার দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ মার্চ আদালতের আদেশে প্রথম এবং ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় নজরুল ইসলাম মজুমদারের নামীয় কিছু সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় ক্রোক ও ফ্রিজ সম্পদ ব্যতিত তার নামে এসব সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধসহ নাসা গ্রুপের অন্যান্য পাওনা পরিশোধের নামে নজরুল ইসলাম মজুমদারের অর্জিত অবৈধ সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব অর্জিত অবৈধ সম্পত্তি হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর/বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। অবিলম্বে এসব সম্পদ ক্রোক করা আবশ্যক।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















