ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি সিগারেট কোম্পানির

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৪১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ঈশ্বরদীর ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এমন অভিযান পরিচালনা করে।

এ বিষয় এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, জাতীয় রাজস্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তামাকজাত পণ্যে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও অবৈধ উৎপাদন রোধে এনবিআর ভবিষ্যতেও কঠোর এবং ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাবে।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন থাকলেও আনুষ্ঠানিক উৎপাদন দেখানো ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল। এ সময় ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকার বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ২৯ লাখ টাকা।

এছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজার পিস অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল/স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে ৮.৫ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হতো। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ পিস বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল দিয়ে উৎপাদন চালাচ্ছিল।

এনবিআর জানায়, উদ্ধার করা সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি সিগারেট কোম্পানির

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি সিগারেট কোম্পানির

প্রকাশিত : ০৯:৪১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ঈশ্বরদীর ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এমন অভিযান পরিচালনা করে।

এ বিষয় এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, জাতীয় রাজস্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তামাকজাত পণ্যে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও অবৈধ উৎপাদন রোধে এনবিআর ভবিষ্যতেও কঠোর এবং ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাবে।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন থাকলেও আনুষ্ঠানিক উৎপাদন দেখানো ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল। এ সময় ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকার বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ২৯ লাখ টাকা।

এছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজার পিস অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল/স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে ৮.৫ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হতো। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ পিস বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল দিয়ে উৎপাদন চালাচ্ছিল।

এনবিআর জানায়, উদ্ধার করা সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।