ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

জাহাজ সংখ্যার কমানোর বিষয়ে যা বললো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৪২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০ বার দেখা হয়েছে

বুধবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ থেকে ৫ মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা শুরু হলে সী ট্রাঙ্ক রুটের ওপর ঋণাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এতে ফিডার পোর্টগুলোতে বাংলাদেশমুখি কিছু আমদানি কন্টেইনার জমে যায়। ফলে বিভিন্ন ফিডার অপরারেটররা তাদের জাহাজের বহরে এডহক ভিত্তিতে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এপ্রোচ করে।

কর্তৃপক্ষ দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে সক্রিয়ভাবে বিষয়টি বিবেচনায় আনে এবং এডহক ভিত্তিতে বিভিন্ন ফিডার অপারেটরদেরকে তাদের নিজস্ব বহরে থাকা জাহাজের অতিরিক্ত হিসাবে প্রায় ২০ থেকে ২২টি জাহাজকে কেবলমাত্র ফিডার পোর্টসমূহের ব্যাকলগ ক্লিয়ার করার জন্য সাময়িকভাবে অনুমোদন করে।

ইতোমধ্যে ফিডার পোর্টসমূহের ব্যাকলগ ক্লিয়ার হলেও কয়েকটি শিপিং কোম্পানি এডহক ভিত্তিতে সাময়িকভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জাহাজসমূহ প্রত্যাহার করে নেননি। ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর হতে ফিডার পোর্টসমূহে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা নিয়মিত এবং এডহকসহ প্রায় ১৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বহিঃনোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়, অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা এবং জেটিতে জাহাজে কার্যকালীন সময় পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিভিন্ন আমদানি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য হাতে পেতে এবং রপ্তানি করতে কিছুটা বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত দুই মাসে জাহাজসমূহের ব্যবহার হিসাব করে দেখা গেছে— জাহাজসমূহের যে ক্যাপাসিটি রয়েছে, জাহাজের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় জাহাজসমূহ ফুল ক্যাপসিটিতে কন্টেইনার পাচ্ছে না।

এই প্রেক্ষাপটে দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, চট্টগ্রাম বন্দরের ফ্যাসিলিটি, জাহাজের স্পেস ইউটিলাইজেশন বিষয়াবলী সার্বিকভাবে বিবেচনা করে গত ২০ জুলাই বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপরোক্ত সার্বিক বিষয়াবলি বিস্তারিত আলোচনা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয় করে বর্তমানে চলাচলরত জাহাজসমূহের সংখ্যা সীমাবদ্ধকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সময় অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ থেকে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকারী সুপারিশ গৃহীত না হওয়ায় ২০ জুলাইয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এরই মধ্যে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথা প্রদান করছে। যা অনভিপ্রেত এবং কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কাম্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে একটি ব্যবসাবান্ধব বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

সব মহলকে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বন্দর থেকে উদাত্ত আহবান জানানো হচ্ছে এবং অসত্য তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জাহাজ সংখ্যার কমানোর বিষয়ে যা বললো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত : ০৭:৪২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

বুধবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ থেকে ৫ মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা শুরু হলে সী ট্রাঙ্ক রুটের ওপর ঋণাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এতে ফিডার পোর্টগুলোতে বাংলাদেশমুখি কিছু আমদানি কন্টেইনার জমে যায়। ফলে বিভিন্ন ফিডার অপরারেটররা তাদের জাহাজের বহরে এডহক ভিত্তিতে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এপ্রোচ করে।

কর্তৃপক্ষ দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে সক্রিয়ভাবে বিষয়টি বিবেচনায় আনে এবং এডহক ভিত্তিতে বিভিন্ন ফিডার অপারেটরদেরকে তাদের নিজস্ব বহরে থাকা জাহাজের অতিরিক্ত হিসাবে প্রায় ২০ থেকে ২২টি জাহাজকে কেবলমাত্র ফিডার পোর্টসমূহের ব্যাকলগ ক্লিয়ার করার জন্য সাময়িকভাবে অনুমোদন করে।

ইতোমধ্যে ফিডার পোর্টসমূহের ব্যাকলগ ক্লিয়ার হলেও কয়েকটি শিপিং কোম্পানি এডহক ভিত্তিতে সাময়িকভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জাহাজসমূহ প্রত্যাহার করে নেননি। ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর হতে ফিডার পোর্টসমূহে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা নিয়মিত এবং এডহকসহ প্রায় ১৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বহিঃনোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়, অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা এবং জেটিতে জাহাজে কার্যকালীন সময় পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিভিন্ন আমদানি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য হাতে পেতে এবং রপ্তানি করতে কিছুটা বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত দুই মাসে জাহাজসমূহের ব্যবহার হিসাব করে দেখা গেছে— জাহাজসমূহের যে ক্যাপাসিটি রয়েছে, জাহাজের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় জাহাজসমূহ ফুল ক্যাপসিটিতে কন্টেইনার পাচ্ছে না।

এই প্রেক্ষাপটে দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, চট্টগ্রাম বন্দরের ফ্যাসিলিটি, জাহাজের স্পেস ইউটিলাইজেশন বিষয়াবলী সার্বিকভাবে বিবেচনা করে গত ২০ জুলাই বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপরোক্ত সার্বিক বিষয়াবলি বিস্তারিত আলোচনা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয় করে বর্তমানে চলাচলরত জাহাজসমূহের সংখ্যা সীমাবদ্ধকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সময় অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ থেকে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকারী সুপারিশ গৃহীত না হওয়ায় ২০ জুলাইয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এরই মধ্যে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথা প্রদান করছে। যা অনভিপ্রেত এবং কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কাম্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে একটি ব্যবসাবান্ধব বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

সব মহলকে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বন্দর থেকে উদাত্ত আহবান জানানো হচ্ছে এবং অসত্য তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।