ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

অসচেতন নগরবাসীকে সতর্ক করলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহর গড়তে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নিজে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন, অন্যদিকে কিছু অসচেতন নগরবাসী পরিষ্কার করা খালে আবারও ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। তবে এসব দেখে হতাশ না হয়ে জেলা প্রশাসক উল্টো এই কার্যক্রম আরও জোরদার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহম্মেদকে সঙ্গে নিয়ে চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি খালপাড় ও আশপাশের এলাকায় নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন এবং মাইকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা নারায়ণগঞ্জের একটি প্রধান সমস্যা। যেসব এলাকা এ সমস্যায় আক্রান্ত, আমি সেগুলো পরিদর্শন করেছি এবং একটি টিম গঠন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় রিপোর্ট তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী আমরা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খাল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি।

তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় শহরের ৯২ কিলোমিটার খালের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার এলাকায় ৫৬টি ব্লকেজ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি খালে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ৬ আগস্ট পর্যন্ত ১২০০ ট্রাকেরও বেশি ময়লা ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪.৮৬ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, আমরা যে সময় খাল পরিষ্কার করছি, সে সময়ই কিছু মানুষ আবার খালে ময়লা ফেলছেন। এভাবে চললে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো— সচেতন হোন। আমরা যেসব এলাকায় ময়লা ফেলা হচ্ছে, সেখানে সাইনবোর্ড লাগাচ্ছি, লিফলেট বিতরণ করছি, মাইকিং করছি। এরপরও যদি কেউ খালে ময়লা ফেলেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক এবং ৫টি এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে খাল পরিষ্কারের কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

গত ২৯ জুলাই জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জলাবদ্ধতা নিরসনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অসচেতন নগরবাসীকে সতর্ক করলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি

প্রকাশিত : ০৬:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহর গড়তে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নিজে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন, অন্যদিকে কিছু অসচেতন নগরবাসী পরিষ্কার করা খালে আবারও ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। তবে এসব দেখে হতাশ না হয়ে জেলা প্রশাসক উল্টো এই কার্যক্রম আরও জোরদার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহম্মেদকে সঙ্গে নিয়ে চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি খালপাড় ও আশপাশের এলাকায় নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন এবং মাইকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা নারায়ণগঞ্জের একটি প্রধান সমস্যা। যেসব এলাকা এ সমস্যায় আক্রান্ত, আমি সেগুলো পরিদর্শন করেছি এবং একটি টিম গঠন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় রিপোর্ট তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী আমরা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খাল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি।

তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় শহরের ৯২ কিলোমিটার খালের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার এলাকায় ৫৬টি ব্লকেজ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি খালে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ৬ আগস্ট পর্যন্ত ১২০০ ট্রাকেরও বেশি ময়লা ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪.৮৬ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, আমরা যে সময় খাল পরিষ্কার করছি, সে সময়ই কিছু মানুষ আবার খালে ময়লা ফেলছেন। এভাবে চললে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো— সচেতন হোন। আমরা যেসব এলাকায় ময়লা ফেলা হচ্ছে, সেখানে সাইনবোর্ড লাগাচ্ছি, লিফলেট বিতরণ করছি, মাইকিং করছি। এরপরও যদি কেউ খালে ময়লা ফেলেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক এবং ৫টি এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে খাল পরিষ্কারের কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

গত ২৯ জুলাই জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জলাবদ্ধতা নিরসনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।