যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তিনটা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও বিপিএল ম্যাচগুলো হয়ে থাকে। এটাকে ডিসেন্টালাইজ করার জন্য ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের মধ্যে রাজশাহী স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বরিশাল কিংবা খুলনা স্টেডিয়ামে সামনের বছর থেকে বিপিএল আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে এখানে (রাজশাহীতে) বিসিবির দায়িত্বশীলরা এসেছিলেন। উনাদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে এখানে কী কী সংস্কারের প্রয়োজন এবারে বিপিএল আয়োজন করার জন্য, সেই অনুযায়ী আমরা সংস্কার শেষে রাজশাহী স্টেডিয়ামে বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করতে পারব।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমার মনে হয় যে এটা এই পর্যন্ত আসত না। যদি ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেরা বসে এটা সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট বা নিজেরা একটা বোঝাপড়ায় আসতে পারত। যেহেতু ৫ আগস্টের পরে সব জায়গায় সংস্কার হচ্ছে। ছাত্ররাজনীতির বিষয়টা ছাত্র সংগঠনগুলো বসে একটা নতুন রূপরেখায় একমত হওয়া উচিত ছিল। সেটা হতে পারত হল এবং একাডেমিক ছাত্ররাজনীতি কীভাবে চলবে বা চলবে কিনা। এটা নিয়ে যদি আগেই ছাত্র সংগঠন বসতো, তাহলে আমার মনে হয় ছাত্রদের প্রতি বা ছাত্ররাজনীতির প্রতি বিদ্বেষমূলক যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়েছে সেটা হতো না। এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর আরও একটু ম্যাচিউর হওয়ার সুযোগ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারপরে আরও অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো মীমাংসিত। আমি মনে করি এই বিষয়গুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে বসে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিক্ষার্থীবান্ধব একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্ররাজনীতি আগামীতে কীভাবে চলবে এটার রূপরেখা প্রণয়ন করে নিজেদের মধ্যে একটা কন্ট্রাক্টের মতো করে বোঝাপাড়া হতে পারে। তার ভিত্তিতে আগামীতে চলতে পারে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।