ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন আগুনমুখা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত-বাড়ি ফসলী খেত, ভাঙন রোধে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • ২০২ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

অশান্ত আগুনমুখা বর্ষা মৌসুমে হয়ে ওঠে আরো বিক্ষুদ্ধ । ভয়াল আগুনমুখা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ, বিলীন হচ্ছে বসতি, ফসলী জমি সবকিছু। ভাঙন ধেয়ে আসছে জনবসতির একেবারে কাছাকাছি। ভাঙনের শব্দ শুনে আতকে উঠে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নবাসি – এই বুঝি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো ভিটেবাড়ি ফসলী জমি।

এদিকে ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে দ্বীপ ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়ায়বাসি। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে জরুরি সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

এই কর্মসুচিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল লতিফ মাসুম, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিপ্লব হাওলাদার, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন হাওলাদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী অংশ নেন।

মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তারা জানান, গত এক যুগ ধরে বৃহত্তর আগুনমুখা নদীর তীব্র ভাঙনে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র হারিয়ে অসংখ্য পরিবার সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। চলমান বর্ষাকালে ভাঙনের মাত্রা আরও বাড়লে পুরো দ্বীপ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চালিতাবুনিয়ার মানুষ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে ইউনিয়বাসি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

চালিতাবুনিয়া ইউপি কার্যালয় সূত্র জানায়, চাইরদিকে নদী বেষ্ঠিত এই ইউনিয়নের আয়তন ২৩ দশমিক ৩৬ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার জন। এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষি ও জেলে পেশায় জড়িত। তাদের আয়ের প্রধান উৎস্য হলো ফসল ফলানো ও মাছের ব্যাবসা। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে দিন দিন নিঃস্ব হচ্ছে এই ইউনিয়নের মানুষ।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের এরশাদ খান (৪০) নামের এক জেলে জানায়, নদীতে মাছ ধরি, তাই নদীর পাড়ের বসতি গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাঙন ক্রমশঃ এগিয়ে আসায় দুইবার তার বসত ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদী ভাঙনে সব হারিয়েছেন তিনি।
উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের ভাঙন এলাকার বাসিন্দা জেলে বধুঁ পলি বেগম জানান, ইতিমধ্যে তিনি দুইবার ভাঙনে তার ভিটেবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এখন আবার নতুন করে ভাঙনের মুখে। জোয়ারের সময় পানি বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় সন্তানদের নিয়ে রাস্তর উপর উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে হয় তাকে । ভাটার পানি নেমে গেলে ফিরে আসে ঘরে। জোয়র-ভাটার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে তাকে।

চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) বিপ্লব হাওলাদার বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আগুনমুখা নদীর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আগুনমুখা নদী ভাঙনের ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের মধ্যে চারটি গ্রাম চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙা, বিবির হাওলা ও গোলবুনিয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ইতিমধ্যে চার গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এবং প্রায় ৫০০ একর কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও তা টেকসই নয়। প্রতি বছরই ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। গত মাসের উঁচু জোয়ারের তাদের বাঁধের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। পানি ওঠানামার দুইটি জলকপাটও নদী ভাঙনে আগুনমুখায় বিলীন হয়েছে। এখন জোয়ারের সময় নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলী খেত ডুবে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পটুয়াখালীর কলাপাড়া কার্যালয় সূত্র জানায়, সিডর পরবর্তী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জলোচ্ছ্বাস থেকে ইউনিয়নের মানুয় ও তাদের বাড়িঘর-ফসল রক্ষায় চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের আগুনমুখা নদী ঘেঁসে প্রথম পর্যায়ে সাত কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। বর্তমানে ওই ইউনিয়নে ২৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ ও পানি ওঠা-নামার জন্য দুইটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নদী ভাঙনে জলকপাট দুইটি ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধের প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে বিলীন ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, আসলে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের ঝাপটায় প্রতি বছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছে চালিতাবুনিয়াবাসি। গত মাসের নিন্মচাপ ও উঁচু জোয়ারের বাঁধের চার কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আড়াই কিলোমিটার সম্পূর্ণ ভেঙে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা না হওয়ায় বাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, পানি ওঠা-নামার দুইটি জলকপাটসহ ব্লক ফেলে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে।

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন আগুনমুখা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত-বাড়ি ফসলী খেত, ভাঙন রোধে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৭:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

অশান্ত আগুনমুখা বর্ষা মৌসুমে হয়ে ওঠে আরো বিক্ষুদ্ধ । ভয়াল আগুনমুখা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ, বিলীন হচ্ছে বসতি, ফসলী জমি সবকিছু। ভাঙন ধেয়ে আসছে জনবসতির একেবারে কাছাকাছি। ভাঙনের শব্দ শুনে আতকে উঠে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নবাসি – এই বুঝি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো ভিটেবাড়ি ফসলী জমি।

এদিকে ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে দ্বীপ ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়ায়বাসি। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে জরুরি সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

এই কর্মসুচিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল লতিফ মাসুম, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিপ্লব হাওলাদার, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন হাওলাদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী অংশ নেন।

মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তারা জানান, গত এক যুগ ধরে বৃহত্তর আগুনমুখা নদীর তীব্র ভাঙনে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র হারিয়ে অসংখ্য পরিবার সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। চলমান বর্ষাকালে ভাঙনের মাত্রা আরও বাড়লে পুরো দ্বীপ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চালিতাবুনিয়ার মানুষ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে ইউনিয়বাসি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

চালিতাবুনিয়া ইউপি কার্যালয় সূত্র জানায়, চাইরদিকে নদী বেষ্ঠিত এই ইউনিয়নের আয়তন ২৩ দশমিক ৩৬ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার জন। এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষি ও জেলে পেশায় জড়িত। তাদের আয়ের প্রধান উৎস্য হলো ফসল ফলানো ও মাছের ব্যাবসা। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে দিন দিন নিঃস্ব হচ্ছে এই ইউনিয়নের মানুষ।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের এরশাদ খান (৪০) নামের এক জেলে জানায়, নদীতে মাছ ধরি, তাই নদীর পাড়ের বসতি গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাঙন ক্রমশঃ এগিয়ে আসায় দুইবার তার বসত ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদী ভাঙনে সব হারিয়েছেন তিনি।
উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের ভাঙন এলাকার বাসিন্দা জেলে বধুঁ পলি বেগম জানান, ইতিমধ্যে তিনি দুইবার ভাঙনে তার ভিটেবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এখন আবার নতুন করে ভাঙনের মুখে। জোয়ারের সময় পানি বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় সন্তানদের নিয়ে রাস্তর উপর উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে হয় তাকে । ভাটার পানি নেমে গেলে ফিরে আসে ঘরে। জোয়র-ভাটার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে তাকে।

চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) বিপ্লব হাওলাদার বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আগুনমুখা নদীর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আগুনমুখা নদী ভাঙনের ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের মধ্যে চারটি গ্রাম চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙা, বিবির হাওলা ও গোলবুনিয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ইতিমধ্যে চার গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এবং প্রায় ৫০০ একর কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও তা টেকসই নয়। প্রতি বছরই ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। গত মাসের উঁচু জোয়ারের তাদের বাঁধের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। পানি ওঠানামার দুইটি জলকপাটও নদী ভাঙনে আগুনমুখায় বিলীন হয়েছে। এখন জোয়ারের সময় নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলী খেত ডুবে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পটুয়াখালীর কলাপাড়া কার্যালয় সূত্র জানায়, সিডর পরবর্তী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জলোচ্ছ্বাস থেকে ইউনিয়নের মানুয় ও তাদের বাড়িঘর-ফসল রক্ষায় চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের আগুনমুখা নদী ঘেঁসে প্রথম পর্যায়ে সাত কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। বর্তমানে ওই ইউনিয়নে ২৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ ও পানি ওঠা-নামার জন্য দুইটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নদী ভাঙনে জলকপাট দুইটি ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধের প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে বিলীন ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, আসলে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের ঝাপটায় প্রতি বছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছে চালিতাবুনিয়াবাসি। গত মাসের নিন্মচাপ ও উঁচু জোয়ারের বাঁধের চার কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আড়াই কিলোমিটার সম্পূর্ণ ভেঙে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা না হওয়ায় বাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, পানি ওঠা-নামার দুইটি জলকপাটসহ ব্লক ফেলে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে।