চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এতে ৮টি ইটভাটার মালিককে মোট ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ৭টি ইটভাটার কিলন ও চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চারিয়া ও কাটিরহাট এলাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) লঙ্ঘনের অভিযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন- পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।

অভিযানে কাটিরহাটের ধলই এলাকার মেসার্স কর্ণফুলী ব্রিকসকে (কে.আর.এম) ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া চারিয়ার মেসার্স চারিয়া মেঘনা ব্রিকস (এনবিএম), মেসার্স কাদেরিয়া ব্রিকস (কেবিসি), মেসার্স কাজী ব্রিকস ম্যানুঃ (কেবিএম), মেসার্স শাহেন শাহ ব্রিকস ফিল্ড (এস.এন.এফ), মেসার্স চট্টলা ব্রিকস (সিবিএম) এবং মেসার্স সেঞ্চুরি ব্রিকসকে (সিবিএম-১) ২ লাখ টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি কিলন ও চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই এলাকার মেসার্স হিমালয় ব্রিকস-এর মালিক মো. রাশেদুল ইসলামকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস, র্যাব-৭, আনসার এবং হাটহাজারী থানার পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
সার্বিক সহযোগিতা করেন- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হাটহাজারী স্টেশনের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটা মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যাংক ঋণ আর ধারদেনা করে এবার ভাটা চালু করেছি। কিন্তু কোনো সময় না দিয়ে মুহূর্তে সব ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমরা এবং আমাদের হাজারো শ্রমিক এক মুহূর্তে বেকার হয়ে গেলাম।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, লোকালয় ও বনের ভেতরে থাকা বহু ভাটা কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করলেও অভিযান হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি ভাটাকে কেন্দ্র করে।

তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















