ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

রাতের আঁধারে ৬ বছরের শিশুকে পুকুরে ফেলে দিলেন সৎ বাবা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯০ বার দেখা হয়েছে

শিশু সন্তানকে দিনভর মোটরসাইকেলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এরপর রাতে রাস্তার পাশের পুকুরে হত্যার উদ্দেশে ফেলে দিয়ে চলে যান সৎ বাবা। অটোরিকশার হেড লাইটের আলোতে হাবুডুবু খেতে দেখে ওই পথে চলাচলকারী এক পথচারী শিশুটিকে পুকুর থেকে জীবন্ত উদ্ধার করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতার ভীড় জমে ওই এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায়। শিশুটির নাম তাসিন (৬)। সে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার সখের বাজার এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।

তাসিন জানায়, তার বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই বিপ্লবসহ তারা মা ববিতা বেগমের কাছেই থাকত। ৬/৭ মাস আগে লালমনিরহাট সদরের সাপটানা এলাকার আকবর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেনের সঙ্গে তার মা ববিতা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শিশু তাসিন ববিতা বেগমের সঙ্গে মুরাদের বাড়িতে ছিল।

শনিবার মুরাদ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাসিনকে নিয়ে বের হন। মোটরসাইকেলে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাত ৯টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় নামক স্থানে রাস্তার পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যান মুরাদ।

এরপর পুকুরে হাবুডুবু খেতে থাকে সে। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী ফকিরপাড়া গ্রামের আজিপুর ইসলাম। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সঙ্গে সঙ্গে না দেখলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো না। এরকম নিষ্ঠুর কাজ যে করতে পারে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

ফুলবাড়ী থানার এস আই আব্দুর রহিম জানান, শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টাকারী সৎ বাবা মুরাদ হোসেনকে লালমনিরহাট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধারকারী আজিপুর ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবা মুরাদকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শিশুটির মা, ভাই, নানিসহ পরিবারের লোকজন থানায় রয়েছেন।

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান বনানীতে

রাতের আঁধারে ৬ বছরের শিশুকে পুকুরে ফেলে দিলেন সৎ বাবা

প্রকাশিত : ১১:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

শিশু সন্তানকে দিনভর মোটরসাইকেলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এরপর রাতে রাস্তার পাশের পুকুরে হত্যার উদ্দেশে ফেলে দিয়ে চলে যান সৎ বাবা। অটোরিকশার হেড লাইটের আলোতে হাবুডুবু খেতে দেখে ওই পথে চলাচলকারী এক পথচারী শিশুটিকে পুকুর থেকে জীবন্ত উদ্ধার করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতার ভীড় জমে ওই এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায়। শিশুটির নাম তাসিন (৬)। সে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার সখের বাজার এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।

তাসিন জানায়, তার বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই বিপ্লবসহ তারা মা ববিতা বেগমের কাছেই থাকত। ৬/৭ মাস আগে লালমনিরহাট সদরের সাপটানা এলাকার আকবর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেনের সঙ্গে তার মা ববিতা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শিশু তাসিন ববিতা বেগমের সঙ্গে মুরাদের বাড়িতে ছিল।

শনিবার মুরাদ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাসিনকে নিয়ে বের হন। মোটরসাইকেলে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাত ৯টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় নামক স্থানে রাস্তার পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যান মুরাদ।

এরপর পুকুরে হাবুডুবু খেতে থাকে সে। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী ফকিরপাড়া গ্রামের আজিপুর ইসলাম। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সঙ্গে সঙ্গে না দেখলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো না। এরকম নিষ্ঠুর কাজ যে করতে পারে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

ফুলবাড়ী থানার এস আই আব্দুর রহিম জানান, শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টাকারী সৎ বাবা মুরাদ হোসেনকে লালমনিরহাট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধারকারী আজিপুর ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবা মুরাদকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শিশুটির মা, ভাই, নানিসহ পরিবারের লোকজন থানায় রয়েছেন।