ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীতে চলাচলের রাস্তা দখল ৯ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী পৌরসভার একতা সড়কে দীর্ঘদিনের ব্যবহারিত চলাচলের রাস্তা দখল দখলের অভিযোগ উঠেছে। চলাচল বন্ধে দখলদার রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলেছে । প্রতিবাদ করলে হুমকি – ধমকিসহ হয়রানি করা হচ্ছে। দখলদারের বিরুদ্ধে ওই এলাকার ৯ টি ভুক্তভোগী পরিবারআজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে আরজু মনি বলেন, প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে তাদের পরিবার একটি নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। রাস্তা ব্যবহারের জন্য ২০০৫ সালে ওই এলাকার ফিরোজ শিকদারের সঙ্গে ৯০ বছরের জন্য লিখিত চুক্তিতে ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যের রাস্তা ও পাশে ৩ ফুট জায়গা নির্ধারণ করা হয়। এ চুক্তি ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে সম্পাদিত হয় এবং এর জন্য ফিরোজ সিকদারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।


পরবর্তীতে , ২০১৭ সালে আরজু মনির বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকে রাস্তাটি দখলে নেওয়ার জন্য ফিরোজ শিকদার ও তার মা ফরিদা বেগম নানা হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেন। এমনকি তার পিতার মৃতদেহ সাময়িকভাবে রাখার পর ফিরোজ শিকদার জোরপূর্বক লাশ সরিয়ে নিতে বাদ্য করে, যা মানবিকতার চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন তারা।
আরজু মনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৮ মার্চ ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় দখলদাররা চুক্তিকৃত রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলে। বাধা দিতে গেলে ফিরোজ সিকদারের চাচী মুক্তা আক্তারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এর দুই মাস পর আবার গোপনে পুরো রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলা হয়, ফলে ৯টি পরিবার চলাচলে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাস্তা মেরামতের চেষ্টা করলেই হামলা ও বাধা দেওয়া হয়। ইট-পাকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের আতঙ্কিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও ফিরোজ সিকদার তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা হামলার অভিযোগ প্রচার করে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


সংবাদ সম্মেলনে ওই রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করে তাদের ৯ টি পরিবারের সদস্যদের চলাচলের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফিরোজ সিকদার তোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আসলে ওই জায়গা আমার। আমার জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ করতে চাইলে আমি নিষেধ করার কারণে আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।

পটুয়াখালীতে চলাচলের রাস্তা দখল ৯ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত : ০৭:১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী পৌরসভার একতা সড়কে দীর্ঘদিনের ব্যবহারিত চলাচলের রাস্তা দখল দখলের অভিযোগ উঠেছে। চলাচল বন্ধে দখলদার রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলেছে । প্রতিবাদ করলে হুমকি – ধমকিসহ হয়রানি করা হচ্ছে। দখলদারের বিরুদ্ধে ওই এলাকার ৯ টি ভুক্তভোগী পরিবারআজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে আরজু মনি বলেন, প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে তাদের পরিবার একটি নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। রাস্তা ব্যবহারের জন্য ২০০৫ সালে ওই এলাকার ফিরোজ শিকদারের সঙ্গে ৯০ বছরের জন্য লিখিত চুক্তিতে ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যের রাস্তা ও পাশে ৩ ফুট জায়গা নির্ধারণ করা হয়। এ চুক্তি ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে সম্পাদিত হয় এবং এর জন্য ফিরোজ সিকদারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।


পরবর্তীতে , ২০১৭ সালে আরজু মনির বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকে রাস্তাটি দখলে নেওয়ার জন্য ফিরোজ শিকদার ও তার মা ফরিদা বেগম নানা হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেন। এমনকি তার পিতার মৃতদেহ সাময়িকভাবে রাখার পর ফিরোজ শিকদার জোরপূর্বক লাশ সরিয়ে নিতে বাদ্য করে, যা মানবিকতার চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন তারা।
আরজু মনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৮ মার্চ ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় দখলদাররা চুক্তিকৃত রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলে। বাধা দিতে গেলে ফিরোজ সিকদারের চাচী মুক্তা আক্তারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এর দুই মাস পর আবার গোপনে পুরো রাস্তার ইটের সলিং তুলে ফেলা হয়, ফলে ৯টি পরিবার চলাচলে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাস্তা মেরামতের চেষ্টা করলেই হামলা ও বাধা দেওয়া হয়। ইট-পাকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের আতঙ্কিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও ফিরোজ সিকদার তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা হামলার অভিযোগ প্রচার করে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


সংবাদ সম্মেলনে ওই রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করে তাদের ৯ টি পরিবারের সদস্যদের চলাচলের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফিরোজ সিকদার তোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আসলে ওই জায়গা আমার। আমার জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ করতে চাইলে আমি নিষেধ করার কারণে আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।