ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি, বুলিং ও স্লাট শেমিং করার অভিযোগ এনে এর বিচার দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল ছাত্রী।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। ‘অ্যাকশন ফর কমিউনিটি ট্রান্সফরমেশন’ (এসিটি) নামের একটি প্লাটফর্ম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মাহিয়া বিনতে মামুন বলেন, ঢাবির হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে নামার পর আমাদের বোনদের (উম্মে সালমা, সাদিয়া আক্তার বর্ষা, মুনতাহা ঈশা ও নুসরাত জাহান) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হেনস্তা ও অবমাননার শিকার হতে হচ্ছে। তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল ও কমেন্টে শতাধিক মন্তব্য এবং ইনবক্সে ‘জীবননাশ’ ও ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন অকথ্য ভাষায় অনলাইন বুলিং ও মানসিক অত্যাচার নারী শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
নারীর অধিকার রক্ষায় নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে মাহিয়া বলেন, আমরা ঢাবির পাওয়ার পলিটিক্স, সিট বাণিজ্যসহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো। হিজাবফোবিয়া একটি ঘৃণিত অপরাধ, আমরা হিজাব পরিধানকারী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও অধিকার স্বীকার করি। সাইবার বুলিং, নারী নিপীড়ন এবং সব মতাদর্শের নারীদের সাথে অপমানজনক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাই। নারীর মৌলিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার রক্ষায় আমরা একত্রিত ও সোচ্চার থাকবো।
এসিটি প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বলেন, নারীদের নিয়ে এ ধরনের কটূক্তি শুধু একটি সাধারণ দুর্ব্যবহার নয়, বরং এটি নারীদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ। নারীর এই অবমাননা কেবল নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার নয় বরং সমাজের জন্য একটি হুমকি; ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি হুমকি।
এসময় তারা সরকারের কাছে ঢাবির নারী শিক্ষার্থী ও ইসলামিক ছাত্রীসংস্থার ছবি নিয়ে সাইবার বুলিং এবং অবমাননাকর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।