ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:১৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অপরদিকে শাখা ছাত্রশিবির এই দাবিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। তারা রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান। একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল করে ছাত্রশিবির, যেখানে তারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে চাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে।

ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিভিন্ন সময়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, অথচ তিনিই চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য। এতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি ছাত্রদলকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন বলেও দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই, তাদের ভাতা দেওয়া। আমরা ভেবেছিলাম জুলাইয়ের পর ক্যাম্পাস বৈষম্যহীনভাবে চলবে। অথচ তা হয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি অথবা তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

অপরদিকে, চাকসু বানচালের অভিযোগে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, একটি পক্ষ বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যু তুলে চাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আজ বিক্ষোভ মিছিল করেছি। চাকসু নির্বাচন বানচালের যে কোনো পাঁয়তারা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে আমি জড়িত নই। আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও আমি তা গ্রহণ করিনি। পরবর্তীতে ছাত্রদলের একটি স্মারকলিপিতে দেখলাম, সেখানে আমার অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। আমি এক সাংবাদিককে বলেছিলাম, যদি তারা সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে চাকসু সম্পর্কিত বিষয়গুলো তাদের জানা থাকার কথা। অথচ সেই মন্তব্যকে ঘিরেই তারা আমার পদত্যাগ দাবি করছে। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমার পক্ষ থেকে কখনো কারো প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়নি, আমি কোনো দলের মুখপাত্রও নই। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আমি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক এবং পাবলিক স্পিকার হিসেবে কাজ করছি। ফলে যে কোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে, তা আমার এক্সপার্টাইজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে এবং সময় থাকলে আমি অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে আপত্তি করি না। এই বিষয়টিকে ‘মুখপাত্র’ বলা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব পদ থেকে দুই মাস আগেই পদত্যাগ করেছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের

প্রকাশিত : ০৮:১৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অপরদিকে শাখা ছাত্রশিবির এই দাবিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। তারা রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান। একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল করে ছাত্রশিবির, যেখানে তারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে চাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে।

ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিভিন্ন সময়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, অথচ তিনিই চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য। এতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি ছাত্রদলকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন বলেও দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই, তাদের ভাতা দেওয়া। আমরা ভেবেছিলাম জুলাইয়ের পর ক্যাম্পাস বৈষম্যহীনভাবে চলবে। অথচ তা হয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি অথবা তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

অপরদিকে, চাকসু বানচালের অভিযোগে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, একটি পক্ষ বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যু তুলে চাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আজ বিক্ষোভ মিছিল করেছি। চাকসু নির্বাচন বানচালের যে কোনো পাঁয়তারা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে আমি জড়িত নই। আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও আমি তা গ্রহণ করিনি। পরবর্তীতে ছাত্রদলের একটি স্মারকলিপিতে দেখলাম, সেখানে আমার অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। আমি এক সাংবাদিককে বলেছিলাম, যদি তারা সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে চাকসু সম্পর্কিত বিষয়গুলো তাদের জানা থাকার কথা। অথচ সেই মন্তব্যকে ঘিরেই তারা আমার পদত্যাগ দাবি করছে। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমার পক্ষ থেকে কখনো কারো প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়নি, আমি কোনো দলের মুখপাত্রও নই। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আমি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক এবং পাবলিক স্পিকার হিসেবে কাজ করছি। ফলে যে কোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে, তা আমার এক্সপার্টাইজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে এবং সময় থাকলে আমি অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে আপত্তি করি না। এই বিষয়টিকে ‘মুখপাত্র’ বলা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব পদ থেকে দুই মাস আগেই পদত্যাগ করেছি।