পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া খেয়াঘাট থেকে তুলাতলী চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটি এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। প্রায় ছয় কিলোমিটার এই
সড়কটির ৭৫ শতাংশ সিলকোট উঠে গেছে। খোয়া বালু সরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে সড়কটি । খানাখন্দে ভরে থাকায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কলাপাড়া কার্যালয় জানায়, এলজিইডির নির্মিত এই সড়কটি অন্তত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ। সড়কটিতে তেগাছিয়া, আজিমদ্দিন, মেলাপাড়া, পূর্বমধুখালী, পশ্চিমমধুখালী, গোলবুনিয়া, সাফাখালী, ইসলামপুরসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলা সদর থেকে আশপাশের ইউনিয়নের মানুষও এই সড়ক পথে চলাচল করছেন। হাজারো মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের যানাবাহনে চলাচল করে এই পথে। অন্তত চারটি বছর ধরে সড়কটিতে খানাখন্দ। বর্তমানে ৭৫ শতাংশ সিলকোট উঠে গেছে। শুকনো মৌসুমে লাল ধুলায় একাকার থাকে। বর্ষায় কাদাপানি জমে যায়। যানবাহনে চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি ঝুঁকি বেড়েছে। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে।

সড়ক পাশের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হোক। না হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। অটো-ভ্যানে উঠলে ঠক ঠক করে। মাজা-কোমর ব্যথা করে।’ ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক মাইনুদ্দিন জানান, মোটরসাইকেল চললে যাত্রী পেছন থেইক্যা পইড়া যাইতে চায়। গাড়ি টানা যায় না।’ অধিকাংশ মানুষের মতামত পূর্বমধুখালী থেকে তেগাছিয়া পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা বেশি খারাপ।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল জানান, তিনি এই সড়কটি মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে বহুবার বলেছেন। এলজিইডি অফিসে দেনদরবার করে আসছেন। শুধু করা হবে-হচ্ছে বলা হলেও সংস্কার করা নিয়ে গড়িমসি চলছে। তিনি জনভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সংস্কারের জন্য এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলজিইডি কলাপাড়ার উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান জানান, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া খেয়াঘাট থেকে তুলাতলী পর্যন্ত ওই সড়কটিও সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 























