ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে ফ্যানের সঙ্গে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মারিয়া(১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহকর্মী মারিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার আচুলা গ্রামে। সে ওই এলাকার মাসুদের মেয়ে।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গৃহকর্ত্রী নাসরিন সুলতানা জানান, ওই বাসায় আমি একাই থাকি। আমার একমাত্র মেয়ে ও স্বামী দেশের বাইরে থাকে। আমার গাড়ির চালক দুপুরের দিকে বাসায় এসে কলিংবেল দিচ্ছিল কিন্তু সে দরজা খুলছিল না। পরে ড্রাইভার আমাকে ফোন দিলে আমি বাসায় এসে দরজা খুলে দেখি গেস্ট রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। তখন তার শরীর গরম ছিল, পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানায় সে আর বেঁচে নেই।

তিনি বলেন, চার মাস আগে তার নানি বকুল আমার বাসায় কাজের জন‍্য দেয়। তার নানী আমার পাশের বাসায় কাজ করে। আমার বাসায় দু’টি কাজের মেয়ে, এর মধ্যে দুই মাস আগে একটি মেয়ে চলে গেছে। সে আর আসেনি। আমাদের ধারণা সে এই বাসায় কাজ করতে চায়নি, এজন্য সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

গৃহকর্মী মারিয়ার নানি বকুল জানান, চার মাস আগে চার হাজার টাকা বেতনে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেই আমরা। আজ দুপুরে খবর পেলাম সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনা বিষয়টির সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

রাজধানীতে ফ্যানের সঙ্গে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৩:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মারিয়া(১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহকর্মী মারিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার আচুলা গ্রামে। সে ওই এলাকার মাসুদের মেয়ে।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গৃহকর্ত্রী নাসরিন সুলতানা জানান, ওই বাসায় আমি একাই থাকি। আমার একমাত্র মেয়ে ও স্বামী দেশের বাইরে থাকে। আমার গাড়ির চালক দুপুরের দিকে বাসায় এসে কলিংবেল দিচ্ছিল কিন্তু সে দরজা খুলছিল না। পরে ড্রাইভার আমাকে ফোন দিলে আমি বাসায় এসে দরজা খুলে দেখি গেস্ট রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। তখন তার শরীর গরম ছিল, পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানায় সে আর বেঁচে নেই।

তিনি বলেন, চার মাস আগে তার নানি বকুল আমার বাসায় কাজের জন‍্য দেয়। তার নানী আমার পাশের বাসায় কাজ করে। আমার বাসায় দু’টি কাজের মেয়ে, এর মধ্যে দুই মাস আগে একটি মেয়ে চলে গেছে। সে আর আসেনি। আমাদের ধারণা সে এই বাসায় কাজ করতে চায়নি, এজন্য সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

গৃহকর্মী মারিয়ার নানি বকুল জানান, চার মাস আগে চার হাজার টাকা বেতনে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেই আমরা। আজ দুপুরে খবর পেলাম সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনা বিষয়টির সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।