ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

দুয়ার খুলছে সুন্দরবনের, ব্যস্ত জেলে-বাওয়ালিরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

আর মাত্র একদিন পর খুলছে সুন্দরবনের দুয়ার। আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও জেলে, বাওয়ালি ও পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যে। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে, তাই এখন শ্যামনগর উপকূলজুড়ে ব্যস্ততা আর উৎসবের আমেজ।

কেউ জাল সেলাই করছেন, কেউ ভাঙা নৌকা ও ট্রলার জোড়াতালি দিচ্ছেন। পর্যটকবাহী ট্রলার মালিকরাও পিছিয়ে নেই—মেরামত ও রঙের কাজ চলছে ঘাটে ঘাটে। জেলে-বাওয়ালিদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি, আগামীকাল থেকে বন উন্মুক্ত হওয়ার খবরে তারা আশাবাদী বেশি মাছ-কাঁকড়া পাবেন।

মুন্সিগঞ্জ টুরিস্ট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ট্রলার পড়ে থাকায় অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে মেরামত করেছি। কাল থেকে পাস ছাড়লে আবার পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে যেতে পারবো।

দাতিনখালির জেলে বাচ্চু গাজী জানান, তিন মাস নদীতে নামতে না পেরে সংসার চালাতে সুদে টাকা নিতে হয়েছে। এখন মাছ শিকার শুরু হলে সেই টাকা শোধ করতে হবে। তাই কাল থেকে মাছ ধরা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

স্থানীয়রা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ঋণ করে সংসার চালাতে হয়েছে প্রায় সবাইকে। এখন সুন্দরবন খুলে যাওয়ায় তারা সেই ঋণ শোধের চিন্তায় ব্যস্ত। তবে একদিকে যেমন আনন্দ, অন্যদিকে মাছের বাজারদর নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

বুড়িগোয়ালিনী ও কাকশিয়ালি ঘাটে ইতোমধ্যেই পর্যটকবাহী ট্রলার মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ মৌসুমে পর্যটক ভালো এলে তিন মাসের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

পশ্চিম বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রজনন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে জুন-আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা, কাঁকড়া আহরণ ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল থেকে জেলে ও পর্যটকরা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বনবিভাগ তাদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।

দুয়ার খুলছে সুন্দরবনের, ব্যস্ত জেলে-বাওয়ালিরা

প্রকাশিত : ০৭:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আর মাত্র একদিন পর খুলছে সুন্দরবনের দুয়ার। আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও জেলে, বাওয়ালি ও পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যে। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে, তাই এখন শ্যামনগর উপকূলজুড়ে ব্যস্ততা আর উৎসবের আমেজ।

কেউ জাল সেলাই করছেন, কেউ ভাঙা নৌকা ও ট্রলার জোড়াতালি দিচ্ছেন। পর্যটকবাহী ট্রলার মালিকরাও পিছিয়ে নেই—মেরামত ও রঙের কাজ চলছে ঘাটে ঘাটে। জেলে-বাওয়ালিদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি, আগামীকাল থেকে বন উন্মুক্ত হওয়ার খবরে তারা আশাবাদী বেশি মাছ-কাঁকড়া পাবেন।

মুন্সিগঞ্জ টুরিস্ট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ট্রলার পড়ে থাকায় অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে মেরামত করেছি। কাল থেকে পাস ছাড়লে আবার পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে যেতে পারবো।

দাতিনখালির জেলে বাচ্চু গাজী জানান, তিন মাস নদীতে নামতে না পেরে সংসার চালাতে সুদে টাকা নিতে হয়েছে। এখন মাছ শিকার শুরু হলে সেই টাকা শোধ করতে হবে। তাই কাল থেকে মাছ ধরা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

স্থানীয়রা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ঋণ করে সংসার চালাতে হয়েছে প্রায় সবাইকে। এখন সুন্দরবন খুলে যাওয়ায় তারা সেই ঋণ শোধের চিন্তায় ব্যস্ত। তবে একদিকে যেমন আনন্দ, অন্যদিকে মাছের বাজারদর নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

বুড়িগোয়ালিনী ও কাকশিয়ালি ঘাটে ইতোমধ্যেই পর্যটকবাহী ট্রলার মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ মৌসুমে পর্যটক ভালো এলে তিন মাসের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

পশ্চিম বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রজনন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে জুন-আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা, কাঁকড়া আহরণ ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল থেকে জেলে ও পর্যটকরা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বনবিভাগ তাদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।