ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শেষে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০৭ বার দেখা হয়েছে

দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও দর্শনার্থী ও বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনে আশানুরূপ দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি করমজল পর্যটন কেন্দ্রে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ২৩৭ জন দর্শনার্থী সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। তবে দীর্ঘদিন পর প্রাকৃতিক এই অপরূপ বনভূমি ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা।

যশোর থেকে আসা দর্শনার্থী শাহিদ আফ্রিদি বলেন, অনেকদিন পর সুন্দরবনে এলাম। বানর, হরিণ আর কুমিরসহ অনেক প্রাণী দেখলাম খুব ভালো লাগলো।

নোয়াখালী থেকে আসা সরোয়ার বলেন, সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অনেকদিন ধরে। পরে জানতে পারি বনে যাওয়া বন্ধ। এরপর জানলাম, ১ সেপ্টেম্বর খুলবে। গত রাতে মোংলায় এসে থেকেছি। আজ সকালে এখানে এসেছি। সুন্দরবন ঘুরে খুব ভালো লাগছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে বন বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফুট ট্রেইল, ঝুলন্ত সেতু, ওয়াচ টাওয়ার, হরিণ ও কুমিরের শেড সব কিছুই নতুন করে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তার দিকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সময়ের সাথে সাথে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া মাত্রই পাশ-পারমিট নিয়ে হাজারো জেলে মাছ ধরতে ছুটেছেন সুন্দরবনে। জেলেরা আশা করছেন, দীর্ঘদিন বনে প্রবেশ বন্ধ থাকায় এবার আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাবে।

শরণখোলা থেকে সুন্দরবনে যাওয়া জেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ ছিল, খুব কষ্টে দিন গেছে। আজ পাশ-পারমিট নিয়ে বনে যাচ্ছি। আশা করছি, ভালো মাছ পাব।

সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. খলিলুর রহমান জানান, প্রথম দিনেই ২৫০টি নৌকায় পাসপারমিট ইস্যু করা হয়েছে। প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২-৩ জন করে জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, জেলেদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা বনের পরিবেশের ক্ষতি না করে এবং কোনো অপরাধে জড়িত না হয়। এছাড়া যে কোনো বিপদের সময় সহায়তার জন্য প্রতিটি নৌকায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শেষে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই

প্রকাশিত : ০৮:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও দর্শনার্থী ও বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনে আশানুরূপ দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি করমজল পর্যটন কেন্দ্রে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ২৩৭ জন দর্শনার্থী সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। তবে দীর্ঘদিন পর প্রাকৃতিক এই অপরূপ বনভূমি ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা।

যশোর থেকে আসা দর্শনার্থী শাহিদ আফ্রিদি বলেন, অনেকদিন পর সুন্দরবনে এলাম। বানর, হরিণ আর কুমিরসহ অনেক প্রাণী দেখলাম খুব ভালো লাগলো।

নোয়াখালী থেকে আসা সরোয়ার বলেন, সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অনেকদিন ধরে। পরে জানতে পারি বনে যাওয়া বন্ধ। এরপর জানলাম, ১ সেপ্টেম্বর খুলবে। গত রাতে মোংলায় এসে থেকেছি। আজ সকালে এখানে এসেছি। সুন্দরবন ঘুরে খুব ভালো লাগছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে বন বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফুট ট্রেইল, ঝুলন্ত সেতু, ওয়াচ টাওয়ার, হরিণ ও কুমিরের শেড সব কিছুই নতুন করে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তার দিকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সময়ের সাথে সাথে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া মাত্রই পাশ-পারমিট নিয়ে হাজারো জেলে মাছ ধরতে ছুটেছেন সুন্দরবনে। জেলেরা আশা করছেন, দীর্ঘদিন বনে প্রবেশ বন্ধ থাকায় এবার আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাবে।

শরণখোলা থেকে সুন্দরবনে যাওয়া জেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ ছিল, খুব কষ্টে দিন গেছে। আজ পাশ-পারমিট নিয়ে বনে যাচ্ছি। আশা করছি, ভালো মাছ পাব।

সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. খলিলুর রহমান জানান, প্রথম দিনেই ২৫০টি নৌকায় পাসপারমিট ইস্যু করা হয়েছে। প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২-৩ জন করে জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, জেলেদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা বনের পরিবেশের ক্ষতি না করে এবং কোনো অপরাধে জড়িত না হয়। এছাড়া যে কোনো বিপদের সময় সহায়তার জন্য প্রতিটি নৌকায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে।