ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের একটি আরেকটির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে

হাইকোর্ট বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থি কোনো আইন সংসদ প্রণয়ন করতে পারে না। যদি এমন আইন করা হয়, তবে তা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে।

বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণার রায়ে হাইকোর্ট এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধান সাধারণ কোনো আইন নয়। সংবিধানের কোনো বিধানকে যখন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়, তখন পূর্ববর্তী বিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরুজ্জীবীত বা পুনর্বহাল হয়ে যায়। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক মামলার রায়ে এই দৃষ্টান্ত রয়েছে।

রায়ে আদালত বলেন, মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিল—বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হলে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বিনষ্ট হবে। কিন্তু হাইকোর্ট মনে করে এই যুক্তি সঠিক নয়। কারণ সংবিধানে বলা আছে বিচার বিভাগ প্রভাবমুক্ত থাকবে। আর ২২ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দায়িত্ব সরকারের।  তাছাড়া রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের (আইন বিভাগ, শাসন বা নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) মধ্যে ক্ষমতার যে পৃথকীকরণ নীতি, বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদ সেই নীতিকে খর্ব করেছে। কারণ, রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের একটি আরেকটির ওপর প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না। সে কারণে আমরা মনে করি, বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অসাংবিধানিক। এজন্য তা বাতিল ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে আদি (বাহাত্তরের) সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হলে সেটি হবে ক্ষমতা পৃথকীকরণ নীতির যথার্থ বাস্তবায়ন।

আদালত বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন সরকার অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রণয়ন করে। রিটকারীদের দাবি, সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ করে এই বিধিমালা প্রণয়ন করেছিল। অথচ এই বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন না করায় ২০১৭ সালে প্রণীত শৃঙ্খলাবিধি অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হলো।

সুপ্রিম কোর্টের স্বতন্ত্র সচিবালয় নিয়ে রায়ে আদালত বলেন, জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র সচিবালয় রয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র সচিবালয়ের কথা সংবিধান এবং মাসদার হোসেন মামলার রায়ে উল্লেখ থাকলেও আজ পর্যন্ত হয়নি। আমরা মনে করি স্বতন্ত্র সচিবালয় না করা সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা কোনো আপত্তি করেননি। তিনি একমত হয়েছেন।

রায়ে আদালত আরও বলেন, বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। আর এই দুটি কমিশনের সুপারিশে সমর্থন জানিয়েছে ৩১টি রাজনৈতিক দল। সুতরাং হাইকোর্ট মনে করছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত রাখতে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার এখনই উপযুক্ত সময়। ফলে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হলো, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবনা অনুসারে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে।

পর্যবেক্ষণ শেষে আদালত বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করেন এবং বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল বলে রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের ফলে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরে এলো।

রায়ে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা অনুসারে তিন মাসের মধ্যে মধ্যে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে বিচারকদের জন্য ২০১৭ সালে তৈরি করা শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ের ফলে এখন থেকে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টকে আর ধরনা দিতে হবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এ রায় ঐতিহাসিক। আজ থেকে বিচার বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা হলো। এখন থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নামে বিচারকদের বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে আর কোন নাটাই থাকলো না। নির্ভয়ে তারা রায় দিতে পারবেন। রায় দেওয়ার পর নির্বাহী কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে রাতের আধারে বিচারকদের বদলির আর কোনো ভয় থাকলো না।

রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের একটি আরেকটির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না

প্রকাশিত : ০৫:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাইকোর্ট বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থি কোনো আইন সংসদ প্রণয়ন করতে পারে না। যদি এমন আইন করা হয়, তবে তা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে।

বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণার রায়ে হাইকোর্ট এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধান সাধারণ কোনো আইন নয়। সংবিধানের কোনো বিধানকে যখন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়, তখন পূর্ববর্তী বিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরুজ্জীবীত বা পুনর্বহাল হয়ে যায়। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক মামলার রায়ে এই দৃষ্টান্ত রয়েছে।

রায়ে আদালত বলেন, মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিল—বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হলে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বিনষ্ট হবে। কিন্তু হাইকোর্ট মনে করে এই যুক্তি সঠিক নয়। কারণ সংবিধানে বলা আছে বিচার বিভাগ প্রভাবমুক্ত থাকবে। আর ২২ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দায়িত্ব সরকারের।  তাছাড়া রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের (আইন বিভাগ, শাসন বা নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) মধ্যে ক্ষমতার যে পৃথকীকরণ নীতি, বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদ সেই নীতিকে খর্ব করেছে। কারণ, রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের একটি আরেকটির ওপর প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না। সে কারণে আমরা মনে করি, বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অসাংবিধানিক। এজন্য তা বাতিল ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে আদি (বাহাত্তরের) সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হলে সেটি হবে ক্ষমতা পৃথকীকরণ নীতির যথার্থ বাস্তবায়ন।

আদালত বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন সরকার অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রণয়ন করে। রিটকারীদের দাবি, সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ করে এই বিধিমালা প্রণয়ন করেছিল। অথচ এই বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন না করায় ২০১৭ সালে প্রণীত শৃঙ্খলাবিধি অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হলো।

সুপ্রিম কোর্টের স্বতন্ত্র সচিবালয় নিয়ে রায়ে আদালত বলেন, জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র সচিবালয় রয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র সচিবালয়ের কথা সংবিধান এবং মাসদার হোসেন মামলার রায়ে উল্লেখ থাকলেও আজ পর্যন্ত হয়নি। আমরা মনে করি স্বতন্ত্র সচিবালয় না করা সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা কোনো আপত্তি করেননি। তিনি একমত হয়েছেন।

রায়ে আদালত আরও বলেন, বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। আর এই দুটি কমিশনের সুপারিশে সমর্থন জানিয়েছে ৩১টি রাজনৈতিক দল। সুতরাং হাইকোর্ট মনে করছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত রাখতে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার এখনই উপযুক্ত সময়। ফলে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হলো, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবনা অনুসারে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে।

পর্যবেক্ষণ শেষে আদালত বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করেন এবং বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল বলে রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের ফলে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরে এলো।

রায়ে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা অনুসারে তিন মাসের মধ্যে মধ্যে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে বিচারকদের জন্য ২০১৭ সালে তৈরি করা শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ের ফলে এখন থেকে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টকে আর ধরনা দিতে হবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এ রায় ঐতিহাসিক। আজ থেকে বিচার বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা হলো। এখন থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নামে বিচারকদের বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে আর কোন নাটাই থাকলো না। নির্ভয়ে তারা রায় দিতে পারবেন। রায় দেওয়ার পর নির্বাহী কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে রাতের আধারে বিচারকদের বদলির আর কোনো ভয় থাকলো না।