ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিশুদের প্রতি মহানবী (সা.) মমতার দৃষ্টান্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:২০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২০ বার দেখা হয়েছে

নীরা নুসাইবা:

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি শুধু বড়দের প্রতিই নয়, বরং শিশুদের প্রতিও ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু, স্নেহশীল ও মমতাময়। শিশুর প্রতি তাঁর আচরণে ছিল ভালোবাসা, করুণা এবং সহানুভূতির অনন্য উদাহরণ।

তিনি একবার বলেছেন—
“যে ব্যক্তি তার সন্তানদের প্রতি করুণা দেখায় না, তাকে কোনো করুণা দেখানো হবে না।”
অর্থাৎ, যে শিশুদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখায় না, সে আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত হয়।

মহানবী (সা.) শুধু মুসলিম শিশুদের প্রতিই নয়, বরং সব ধর্ম-বর্ণের শিশুদের প্রতিই সমানভাবে স্নেহ দেখাতেন। যখনই তিনি কোনো শিশুকে দেখতেন, তাকে জড়িয়ে ধরতেন, আদর করতেন। তাঁর কাছে প্রতিটি শিশু ছিল আশীর্বাদস্বরূপ।

আরেকটি হাদিসে তিনি বলেন
“তোমরা শিশুদের প্রতি স্নেহ করবে এবং তাদের জন্য দোয়া করবে।”
এই বাণী আমাদের শেখায়, শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রকাশ করা একজন বিশ্বাসীর দায়িত্ব।

শিশুদের সঙ্গে মহানবী (সা.) খেলাধুলা করতেন, মজা করতেন এবং তাদের চঞ্চল মনে আনন্দ যোগাতেন। তিনি সন্তানের মতো তাদের সোহাগ দিতেন। এমনকি তাঁর নাতনিদের সাথে খেলার সময় মাঝে মাঝে তিনি ঘোড়ার মতো হয়ে যেতেন। এভাবেই তিনি শিশুদের হৃদয়ে আনন্দ ছড়িয়ে দিতেন এবং তাদের ভেতরে নৈতিক শিক্ষা ও সুন্দর চরিত্র গড়ে তুলতে উৎসাহ দিতেন।

শিশুর প্রতি এই দয়ার দৃষ্টান্ত আজকের পৃথিবীর জন্য এক মহামূল্যবান শিক্ষা। শিশুদের শুধু আদর নয়, বরং সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ দিয়ে বড় করে তোলার মধ্যে রয়েছে সমাজ ও জাতির কল্যাণ।

আজকের দিনে তাই আমাদের দায়িত্ব হলো প্রিয় নবীর এই আদর্শকে স্মরণ করা, তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করা এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করা।

আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন শিশুদের সত্যিকার বন্ধু, দয়ার প্রতীক এবং অনুকরণীয় উদাহরণ।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,বরিশাল।

শিশুদের প্রতি মহানবী (সা.) মমতার দৃষ্টান্ত

প্রকাশিত : ০৪:২০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীরা নুসাইবা:

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি শুধু বড়দের প্রতিই নয়, বরং শিশুদের প্রতিও ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু, স্নেহশীল ও মমতাময়। শিশুর প্রতি তাঁর আচরণে ছিল ভালোবাসা, করুণা এবং সহানুভূতির অনন্য উদাহরণ।

তিনি একবার বলেছেন—
“যে ব্যক্তি তার সন্তানদের প্রতি করুণা দেখায় না, তাকে কোনো করুণা দেখানো হবে না।”
অর্থাৎ, যে শিশুদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখায় না, সে আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত হয়।

মহানবী (সা.) শুধু মুসলিম শিশুদের প্রতিই নয়, বরং সব ধর্ম-বর্ণের শিশুদের প্রতিই সমানভাবে স্নেহ দেখাতেন। যখনই তিনি কোনো শিশুকে দেখতেন, তাকে জড়িয়ে ধরতেন, আদর করতেন। তাঁর কাছে প্রতিটি শিশু ছিল আশীর্বাদস্বরূপ।

আরেকটি হাদিসে তিনি বলেন
“তোমরা শিশুদের প্রতি স্নেহ করবে এবং তাদের জন্য দোয়া করবে।”
এই বাণী আমাদের শেখায়, শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রকাশ করা একজন বিশ্বাসীর দায়িত্ব।

শিশুদের সঙ্গে মহানবী (সা.) খেলাধুলা করতেন, মজা করতেন এবং তাদের চঞ্চল মনে আনন্দ যোগাতেন। তিনি সন্তানের মতো তাদের সোহাগ দিতেন। এমনকি তাঁর নাতনিদের সাথে খেলার সময় মাঝে মাঝে তিনি ঘোড়ার মতো হয়ে যেতেন। এভাবেই তিনি শিশুদের হৃদয়ে আনন্দ ছড়িয়ে দিতেন এবং তাদের ভেতরে নৈতিক শিক্ষা ও সুন্দর চরিত্র গড়ে তুলতে উৎসাহ দিতেন।

শিশুর প্রতি এই দয়ার দৃষ্টান্ত আজকের পৃথিবীর জন্য এক মহামূল্যবান শিক্ষা। শিশুদের শুধু আদর নয়, বরং সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ দিয়ে বড় করে তোলার মধ্যে রয়েছে সমাজ ও জাতির কল্যাণ।

আজকের দিনে তাই আমাদের দায়িত্ব হলো প্রিয় নবীর এই আদর্শকে স্মরণ করা, তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করা এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করা।

আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন শিশুদের সত্যিকার বন্ধু, দয়ার প্রতীক এবং অনুকরণীয় উদাহরণ।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,বরিশাল।