ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সাইফুজ্জামানের হাজার কোটি টাকা পাচারের স্বীকারোক্তি জাহাঙ্গীরের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তরধারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৮ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে এবং পরবর্তীকালে এজিএম হিসেবে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রী রূকমীলা জামানের প্রতিষ্ঠান আরামিটে কর্মরত ছিলেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কালুরঘাট থেকে দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিমের অভিযানে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ সময় জাবেদের ইস্যু করা ১১টি চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৬ লাখ টাকা এবং মেঘনা ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তোলা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আরামিট পিএলসির এজিএম জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। তার প্রদত্ত জবানবন্দিতে সাইফুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী আব্দুল আজিজ, উৎপল পাল ও সৈয়দ কামরুজ্জামান সিন্ডিকেট কর্তৃক হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রাম আদালত ও দুদকসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া জাবেদের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমের সেই জবানবন্দিতে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিনব কৌশলের বিবরণ মিলেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করার পর আরামিট পিএলসির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এর আগে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নানা অনিয়মের ২৩ বস্তা ডকুমেন্ট উদ্ধার হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ায় সাইফুজ্জামানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা আরামিট গ্রুপের এজিএম উৎপল পাল এবং আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। যত দিন যাচ্ছে, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিভিন্ন রেকর্ডপত্র বেরিয়ে আসছে। এবার জবানবন্দিতেও অনেকখানি সত্যতা মিলেছে।

ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে এবং প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ বাবদ অর্থ পরবর্তীতে নগদ চেকের মাধ্যমে কোম্পানির বাহকের মাধ্যমে নগদে উত্তোলন করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এখানে সাইফুজ্জামানের পক্ষে এজিএম ও পিএস আব্দুল আজিজ এবং এজিএম উৎপল পাল ও সৈয়দ কামরুজ্জামান কাজ করেছেন। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দ্বারা সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন যা দেখাশোনা করতো এজিএম ও পিএস আব্দুল আজিজ এবং এজিএম উৎপল পাল।

ভিশন ট্রেডিং হতে ৪ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার ক্ল্যাসিকে স্থানান্তর :

গ্রাহক ভিশন ট্রেডিংয়ের নামীয় ঋণের ওই টাকা ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ে স্থানান্তরের পর জাহাঙ্গীরের পূর্বে থেকে স্বাক্ষর নিয়ে রাখা চেক দ্বারা অর্থ স্থানান্তর ও উত্তোলন করা হয় বলে জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।

সাইফুজ্জামানের হাজার কোটি টাকা পাচারের স্বীকারোক্তি জাহাঙ্গীরের

প্রকাশিত : ০১:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তরধারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৮ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে এবং পরবর্তীকালে এজিএম হিসেবে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রী রূকমীলা জামানের প্রতিষ্ঠান আরামিটে কর্মরত ছিলেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কালুরঘাট থেকে দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিমের অভিযানে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ সময় জাবেদের ইস্যু করা ১১টি চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৬ লাখ টাকা এবং মেঘনা ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তোলা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আরামিট পিএলসির এজিএম জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। তার প্রদত্ত জবানবন্দিতে সাইফুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী আব্দুল আজিজ, উৎপল পাল ও সৈয়দ কামরুজ্জামান সিন্ডিকেট কর্তৃক হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রাম আদালত ও দুদকসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া জাবেদের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমের সেই জবানবন্দিতে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিনব কৌশলের বিবরণ মিলেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করার পর আরামিট পিএলসির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এর আগে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নানা অনিয়মের ২৩ বস্তা ডকুমেন্ট উদ্ধার হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ায় সাইফুজ্জামানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা আরামিট গ্রুপের এজিএম উৎপল পাল এবং আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। যত দিন যাচ্ছে, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিভিন্ন রেকর্ডপত্র বেরিয়ে আসছে। এবার জবানবন্দিতেও অনেকখানি সত্যতা মিলেছে।

ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে এবং প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ বাবদ অর্থ পরবর্তীতে নগদ চেকের মাধ্যমে কোম্পানির বাহকের মাধ্যমে নগদে উত্তোলন করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এখানে সাইফুজ্জামানের পক্ষে এজিএম ও পিএস আব্দুল আজিজ এবং এজিএম উৎপল পাল ও সৈয়দ কামরুজ্জামান কাজ করেছেন। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দ্বারা সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন যা দেখাশোনা করতো এজিএম ও পিএস আব্দুল আজিজ এবং এজিএম উৎপল পাল।

ভিশন ট্রেডিং হতে ৪ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার ক্ল্যাসিকে স্থানান্তর :

গ্রাহক ভিশন ট্রেডিংয়ের নামীয় ঋণের ওই টাকা ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ে স্থানান্তরের পর জাহাঙ্গীরের পূর্বে থেকে স্বাক্ষর নিয়ে রাখা চেক দ্বারা অর্থ স্থানান্তর ও উত্তোলন করা হয় বলে জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।