ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

১৩ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা চান জেলেরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩১ বার দেখা হয়েছে

ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৩ অক্টোবর করার দাবি জানিয়েছেন হাতিয়ার মৎস্যজীবীরা।

এ দাবিতে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে মানববন্ধন করেন তারা। মৎস্যজীবী সমিতি ও স্থানীয় জেলেদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শত শত জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মৎস্যজীবীরা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা খুবই কম, ফলে তারা জীবিকা নির্বাহে চরম অসুবিধায় পড়ছেন। অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে ইলিশ শিকার করে বাজারজাত করছেন, অথচ প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া ভারত থেকে আসা ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে দেশীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের আহ্বায়ক মো. শাহেদ হোসেন বলেন, ২৭ বছর ধরে আমি ইলিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইলিশই আমাদের একমাত্র জীবিকার উৎস। এখন কিছু মাছ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার তারিখ আগাম করায় আমরা হতাশ। এতে আমরা আরও ঋণের বোঝায় পড়ে যাচ্ছি।


মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, সরকারের আইন আমরা মেনে চলি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। সরকার যেন আমাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেয়।

সমিতির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন কিরণ বলেন, আমরা শুধু ইলিশ ধরার সময় বাড়ানোর দাবি করছি না, একই সঙ্গে অসাধু শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি। পর্যাপ্ত সময় মাছ ধরতে না পারলে আমাদের পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা দিলেই হবে না নদীর দূষণ রোধ, জাটকা নিধন বন্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কোষাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দীন, কার্যকরী কমিটির সদস্য রেজ্জাকুল হায়দার লেলিন, গিয়াস উদ্দিন, মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন, তাজুল ইসলাম পিটু, আকরাম হোসেন ও ফখরুল মাঝি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপর জেলারা এ দাবি করেন।

১৩ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা চান জেলেরা

প্রকাশিত : ০২:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৩ অক্টোবর করার দাবি জানিয়েছেন হাতিয়ার মৎস্যজীবীরা।

এ দাবিতে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে মানববন্ধন করেন তারা। মৎস্যজীবী সমিতি ও স্থানীয় জেলেদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শত শত জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মৎস্যজীবীরা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা খুবই কম, ফলে তারা জীবিকা নির্বাহে চরম অসুবিধায় পড়ছেন। অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে ইলিশ শিকার করে বাজারজাত করছেন, অথচ প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া ভারত থেকে আসা ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে দেশীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের আহ্বায়ক মো. শাহেদ হোসেন বলেন, ২৭ বছর ধরে আমি ইলিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইলিশই আমাদের একমাত্র জীবিকার উৎস। এখন কিছু মাছ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার তারিখ আগাম করায় আমরা হতাশ। এতে আমরা আরও ঋণের বোঝায় পড়ে যাচ্ছি।


মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, সরকারের আইন আমরা মেনে চলি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। সরকার যেন আমাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেয়।

সমিতির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন কিরণ বলেন, আমরা শুধু ইলিশ ধরার সময় বাড়ানোর দাবি করছি না, একই সঙ্গে অসাধু শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি। পর্যাপ্ত সময় মাছ ধরতে না পারলে আমাদের পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা দিলেই হবে না নদীর দূষণ রোধ, জাটকা নিধন বন্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কোষাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দীন, কার্যকরী কমিটির সদস্য রেজ্জাকুল হায়দার লেলিন, গিয়াস উদ্দিন, মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন, তাজুল ইসলাম পিটু, আকরাম হোসেন ও ফখরুল মাঝি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপর জেলারা এ দাবি করেন।