ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ফিনল্যান্ডে বিদেশি ভাষাভাষী শিশুদের ভাষাগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

ফিনল্যান্ডে বসবাসরত অভিবাসী পরিবারের সন্তানরা এক অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি– নিজস্ব মাতৃভাষা ও ফিনিশ ভাষার দ্বৈততার মধ্যে তাদের বেড়ে ওঠা। বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা কথা বলে বাংলা বা অন্য মাতৃভাষায় আর স্কুলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ঢুকতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ভাষা ও সংস্কৃতির জগতে। এই পরিবর্তন প্রায়শই শিশুর মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক যোগাযোগে প্রভাব ফেলে।

ইসো ওমেনা লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ প্যানেল আলোচনা, যার বিষয় ছিল ‘বিদেশি ভাষাভাষী শিশু থেকে দক্ষ ফিনিশ ভাষাভাষী হওয়া : প্রারম্ভিক শৈশব, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রেক্ষাপটে – চ্যালেঞ্জ ও অগ্রগতির পথ’।

প্যানেলে অংশ নেন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদরা, যাদের মধ্যে ছিলেন এসপো সিটি কাউন্সিলের সদস্য এবং এসপো গ্রোথ অ্যান্ড লার্নিং বোর্ডের প্রতিনিধিরাও। অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষাভাষীসহ বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি ছিল।

প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন হেলেনা টিটিনেন, যিনি ফিনল্যান্ডের এসপো সিটি কাউন্সিলের সদস্য ও একজন শিক্ষক এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেপুটি কাউন্সিলর মিয়াজ নাজরুল ইসলাম।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ফিনল্যান্ডের স্কুল ব্যবস্থা অভিবাসী শিশুদের ফিনিশ ভাষা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও মাতৃভাষা রক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ এখনো সীমিত।

অনেক বাংলা ভাষাভাষী অভিভাবক জানান, তাদের সন্তানরা বাসায় বাংলা শিখলেও স্কুলে ফিনিশ ভাষায় পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রায়শই দুই ভাষার ভারসাম্য রাখতে হিমশিম খায়।

ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বাহক– এই উপলব্ধি থেকেই আলোচনায় উঠে আসে দ্বিভাষিক শিক্ষা, মাতৃভাষা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং অভিভাবক-শিক্ষক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা।

প্যানেল ও উপস্থিত দর্শকরা একমত হন যে, ফিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ হবে বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পেলে এই শিশুদের ভাষাগত বৈচিত্র্যই পরিণত হতে পারে সমাজের এক অমূল্য সম্পদে।

ফিনল্যান্ডে বিদেশি ভাষাভাষী শিশুদের ভাষাগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত : ০৮:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ফিনল্যান্ডে বসবাসরত অভিবাসী পরিবারের সন্তানরা এক অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি– নিজস্ব মাতৃভাষা ও ফিনিশ ভাষার দ্বৈততার মধ্যে তাদের বেড়ে ওঠা। বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা কথা বলে বাংলা বা অন্য মাতৃভাষায় আর স্কুলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ঢুকতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ভাষা ও সংস্কৃতির জগতে। এই পরিবর্তন প্রায়শই শিশুর মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক যোগাযোগে প্রভাব ফেলে।

ইসো ওমেনা লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ প্যানেল আলোচনা, যার বিষয় ছিল ‘বিদেশি ভাষাভাষী শিশু থেকে দক্ষ ফিনিশ ভাষাভাষী হওয়া : প্রারম্ভিক শৈশব, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রেক্ষাপটে – চ্যালেঞ্জ ও অগ্রগতির পথ’।

প্যানেলে অংশ নেন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদরা, যাদের মধ্যে ছিলেন এসপো সিটি কাউন্সিলের সদস্য এবং এসপো গ্রোথ অ্যান্ড লার্নিং বোর্ডের প্রতিনিধিরাও। অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষাভাষীসহ বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি ছিল।

প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন হেলেনা টিটিনেন, যিনি ফিনল্যান্ডের এসপো সিটি কাউন্সিলের সদস্য ও একজন শিক্ষক এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেপুটি কাউন্সিলর মিয়াজ নাজরুল ইসলাম।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ফিনল্যান্ডের স্কুল ব্যবস্থা অভিবাসী শিশুদের ফিনিশ ভাষা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও মাতৃভাষা রক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ এখনো সীমিত।

অনেক বাংলা ভাষাভাষী অভিভাবক জানান, তাদের সন্তানরা বাসায় বাংলা শিখলেও স্কুলে ফিনিশ ভাষায় পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রায়শই দুই ভাষার ভারসাম্য রাখতে হিমশিম খায়।

ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বাহক– এই উপলব্ধি থেকেই আলোচনায় উঠে আসে দ্বিভাষিক শিক্ষা, মাতৃভাষা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং অভিভাবক-শিক্ষক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা।

প্যানেল ও উপস্থিত দর্শকরা একমত হন যে, ফিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ হবে বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পেলে এই শিশুদের ভাষাগত বৈচিত্র্যই পরিণত হতে পারে সমাজের এক অমূল্য সম্পদে।