ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর নিজ গ্রাম হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া (কৃষ্ণপুর) স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ওই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজসহ সহস্রাধিক মুসল্লি মরহুমের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

নিহত জোবায়েদ হোসেন কলাগাছিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় হোমনার কলাগাছিয়া গ্রামের বাড়িতে জোবায়েদের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ তাকে দেখার জন্য ভিড় করেন। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

নিহত জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম শোকে ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে সকলের শাস্তি চাই। কত আদর যত্ন কইরা আমার ছেলেরে বড় করছি,পড়াশোনা করাইতাছি। খুনিরা আমার ছেলেকে কেন মারলো? কী দোষ তার?

নিহতের চাচা আক্তার হোসেন বলেন, রোববার প্রেসক্লাব বসে আছি। হঠাৎ আমাকে একজন কল দিয়ে বলে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়েই সাথে সাথে যাই। আমার বড় ভাই জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন পরিবারসহ নোয়াখালীতে সেটেল। সেখানে তিনি ব্যবসা করেন। আমার ভাই যখন ব্যবসার মালামাল আনতে যান তখন জোবায়েদকে সাথে নিয়ে যেতেন, এখন কাকে নিয়ে যাবেন? ৪ ভাইয়ের মধ্যে জোবায়েদ দ্বিতীয়। আজ যখন মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করি। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না। সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষে নিজ গ্রাম কলাগাছিয়া (কৃষ্ণপুর) তার মরদেহ দাফন করেছি।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।

নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

প্রকাশিত : ১০:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর নিজ গ্রাম হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া (কৃষ্ণপুর) স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ওই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজসহ সহস্রাধিক মুসল্লি মরহুমের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

নিহত জোবায়েদ হোসেন কলাগাছিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় হোমনার কলাগাছিয়া গ্রামের বাড়িতে জোবায়েদের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ তাকে দেখার জন্য ভিড় করেন। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

নিহত জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম শোকে ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে সকলের শাস্তি চাই। কত আদর যত্ন কইরা আমার ছেলেরে বড় করছি,পড়াশোনা করাইতাছি। খুনিরা আমার ছেলেকে কেন মারলো? কী দোষ তার?

নিহতের চাচা আক্তার হোসেন বলেন, রোববার প্রেসক্লাব বসে আছি। হঠাৎ আমাকে একজন কল দিয়ে বলে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়েই সাথে সাথে যাই। আমার বড় ভাই জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন পরিবারসহ নোয়াখালীতে সেটেল। সেখানে তিনি ব্যবসা করেন। আমার ভাই যখন ব্যবসার মালামাল আনতে যান তখন জোবায়েদকে সাথে নিয়ে যেতেন, এখন কাকে নিয়ে যাবেন? ৪ ভাইয়ের মধ্যে জোবায়েদ দ্বিতীয়। আজ যখন মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করি। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না। সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষে নিজ গ্রাম কলাগাছিয়া (কৃষ্ণপুর) তার মরদেহ দাফন করেছি।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।