পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
জমা রাখা অর্থ ও স্বর্নাংকার চাইতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে কোদালের আঘাতে জামাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকি বাড়িয়ার গ্রামের আঊরাপুল এলাকায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের জামাইর নাম অভিনাশ চন্দ্র দাস (২৮)। তিনি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ঢেউখালি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাই অভিনাশ ঢাকাতে ব্যবসা বানিজ্যে করে তার সংসার চলছিল। বেশ কিছুদিন ধরে সে তার শ্বশুর শান্তি দাসের (৫৫) কাছে কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জমা রাখেন। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে অভিনাশ তার স্ত্রী মনিকা দাসকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকি বাড়িয়ার গ্রামের হাজির হন । এক পর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে অভিনাশ শ্বশুরের কাছে জমা রাখা সেই অর্থ ও গহনা ফেরত চান।
এক পর্যায়ে জমা রাখা অর্থ ও গহনা ফেরত চাওয়া নিয়ে শ্বশুর শান্তি দাস , শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে জামাই অভিনাশ। এই বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কোদাল দিয়ে অভিনাশের মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অভিনাশের শ্বশুর বাড়ির কোদাল দিয়ে জামাই অভিনাশের মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
ছোটবিঘাইি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার জানান, শান্তি দাস তার জামাইর কাছ থেকে প্রায়ই টাকা পায়সা আনত । শুনেছি সোমবার রাতে জামাই বাড়িতে এলে জমা রাখা টাকা-স্বর্নালংকার নিয়ে তাদের মধ্যে কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যােেয় কোদাল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থালেই জামাই মারা যায়। খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি শ্বশুর শান্তি দাস, শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসসহ পরিবারের সদস্যরা সকলেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।